টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে নেশন্স লিগের চ্যাম্পিয়ন স্পেন
খুব কাছে এসেও একটি আন্তর্জাতিক শিরোপার স্বাদ পেল না লুকা মদ্রিচ-ইভান পেরিসিচদের নিয়ে গড়া ক্রোয়েশিয়া। অন্যদিকে ১১ বছর পর কোনো শিরোপার দেখা পেল স্পেন। উয়েফা নেশন্স লিগের ফাইনালে গতকাল (১৮ জুন) বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে একটায় মুখোমুখি হয় ক্রোয়েশিয়া ও স্পেন।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট পেরিয়ে ম্যাচ গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। কিন্তু লড়াইয়ের ধরনে তেমন কোনো পরিবর্তন এলো না। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চলল ঠিকই; কিন্তু প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে যথেষ্ট পরীক্ষায় ফেলতে পারল না কোনো দল। অবশেষে টাইব্রেকারে বাজিমাত করে ক্রোয়াটদের ৫-৪ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নেশন্স লিগের শিরোপা জেতে স্পেন। উনাই সিমোনের অসাধারণ নৈপুণ্যে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নেশন্স লিগের শিরোপা জিতল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
দুই দলই প্রথম তিন শটে জালের দেখা পায়। ক্রোয়েশিয়ার চতুর্থ শট নিতে এসে ব্যর্থ হন লভরো মাইয়ের, তার শট ঝাঁপিয়ে পড়া অবস্থায় পা দিয়ে আটকান সিমোন। এরপর মার্কো আসেনসিও জালে বল পাঠালে এগিয়ে যায় স্পেন।
ক্রোয়েশিয়ার চতুর্থ শট নেওয়া ইভান পেরিসিচ সফল হলে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-৪, কিন্তু একটি শট তখন হাতে ছিল স্পেনের। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ট্রেবল জয়ী সফল হলে শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যেত তাদের, কিন্তু ক্রসবারে মেরে বসেন তিনি। নতুন করে আশা জাগে কাতার বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালিস্টদের।
তবে আবারও সিমোনের দৃঢ়তা এবং ব্রুনো পেতকোভিচের ব্যর্থতায় ভেস্তে যায় তাদের সব আশা। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে তার শট ঠেকিয়ে দেন আথলেতিক বিলবাওয়ের গোলরক্ষক। এরপর দানি কারভাহাল লক্ষ্যভেদ করতেই উল্লাসে ফেটে পরে স্পেনের সবাই।
২০১০ সালের বিশ্বকাপ জয়ী স্পেন তিনবার জিতেছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। তাদের সবশেষ শিরোপা সাফল্য ধরা দেয় ২০১২ সালে, ইউরো। ১১ বছর বাদে ফের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মিষ্টি স্বাদ পেল তারা।