টানা বর্ষণে নাইক্ষ্যংছড়িতে যোগাযোগ বন্ধ: ৯ গ্রাম প্লাবিত


টানা তিনদিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে নাইক্ষ্যংছড়ির সাথে সারাদেশের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। প্লাবিত হয়েছে দুই ইউনিয়নের নিম্ন এলাকার ৮টির অধিক গ্রাম।
গেল রবিবার থেকে থেকে থেমে বর্ষণ হলেও সোমবার রাত থেকে অঝোরে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। যা বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এতে করে পার্শ্ববর্তী বাকঁখালী ও নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন খাল ও ছড়ার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারী বর্ষণে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ধুংরী হেডম্যানপাড়া, বড়ুয়া পাড়া উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন হিন্দুপাড়াসহ ১১বিজিবির কোয়ার্টার এলাকা প্লাবিত হয়।
রামুর কাউয়ারখোপ ও জারুলিয়াছড়ি এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বাইশারী ইউনিয়নের বাসিন্দা সাংবাদিক মুফিজুর রহমান জানান, টানা বর্ষণের কারণে বাইশারী ইউনিয়নের দক্ষিণ নারিচবুনিয়া, মধ্যম বাইশারী, দক্ষিণ বাইশারী কোণার পাড়া, পশ্চিম বাইশারী, তুফানআলী পাড়া ও করলিয়া মুরা গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধ্বসের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অতিমাত্রায় বর্ষণের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করছে উপজেলা প্রশাসন।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম জানান, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তার ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী ও পাশ্ববর্তী এলাকার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়া লোকজনের মাঝে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন জানান, পানিবন্দী সদরের তিনটি গ্রামে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া টানা বর্ষণে কয়েকটি পাহাড় ধ্বসের ঘটনাও ঘটেছে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এই বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন কচি জানান, ভারী বর্ষণে ইতোমধ্যে বাইশারী ও সদর ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
তাদের মধ্যে কিছু মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। দুই ইউনিয়নের প্লাবিত এলাকার মানুষের মাঝে খাবার ব্যবস্থা করার জন্য চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে।
এছাড়া অন্যান্য ইউনিয়নেও খোঁজ রাখা হচ্ছে এবং পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।