টানা বর্ষণে রাজস্থলীতে তিন ইউনিয়ন প্লাবিত, রাস্তা-ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
রাজস্থলী প্রতিনিধি:
টানা বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে রাজস্থলী উপজেলার অধিকাংশ নিচু এলাকা। বৃষ্টির সাথে সাথে কাপ্তাই পাওয়ার হাউস এর পানি ছাড়ার সাথে সাথে অনেক এলাকায় রীতিমত পানিবন্দি হয়েছে মানুষ। এতে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়, রাস্তা-ঘাট, আমন বীজতলা, বাসাবাড়ি, খেত খামার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রায় শতাধিক পুকুর পানিতে ডুবে গিয়ে পোনা ও বড় মাছ পানিতে ভেসে যায়।
অতিবর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে কাপ্তাই খালের উজান পানি প্রবাহিত হওয়ায় গভমেন্ট হাই স্কুলের মাঠ, টিএন্টটি কলোনী, নুরুল ইসলাম ডিলার কলোনী, রাজস্থলীর খাদ্য গুদাম পাশ এলাকা, থানা বাউন্ডারী ওয়াল, ২নং গাইন্দ্যা ইউনিয়নের নয়াঝিড়ি, তাইতং পাড়া, গাইন্দ্যা এলাকা, ওগাড়ী পাড়া ও লংগদু পাড়া, ইসলামপুর এলাকা অভ্যন্তরীণ সড়ক ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
উপজেলার প্রবল বর্ষণে রাস্তাঘাট, সেতু কালভার্ট ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। টানা বর্ষণ অব্যাহত থাকলে এর চেয়ে ও ভয়াবহ বন্যাসহ ব্যাপক হারে পাহাড় ধসের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। উপজেলার বিভিন্ন স্থানের পাহাড় ধসে প্রাণহানির আশঙ্কায় উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন ভাবে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয় নেওয়ার জন্য দফায় দফায় তাগিদ দিয়েছেন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন, গতকাল থেকে মুষলধারে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়। আর এ টানা বর্ষণের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ী ঢলে উপজেলায় অবস্থিত নদী, খাল ও ঝিড়ির পানি ফুসে উঠে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারী বেসরকারী সংস্থার কার্যালয়, সহস্রাধিক ঘরবাড়িও রয়েছে। আবার অতি বৃষ্টির কারণে ধ্বস দেখা দেয় বিভিন্ন ইউনিয়নের অবস্থিত পাহাড় গুলোতে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর রাজস্থলী সাব জোন কমান্ডার মেজর সাফী। উপজেলা চেয়ারম্যান উথিনসিন মারমা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী তত্তাবধানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অংনুচিং মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ক্রয়সুইউ মারমা, ২নং গাইন্দ্যা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উবাচ মারমা, ঘিলাছড়ি ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল হাসেম মেম্বার, উপজেলা বিআরডিবি সহকারী অফিসার মমিনুল্লাহ সহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।