parbattanews

টেকনাফের ঝিমনখালীতে আস্তানা গড়ে তুলেছে ডাকাতদল

jimon-khali
নিজস্ব প্রতিবেদক :
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমনখালীতে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তি ও তার দলের বিরুদ্ধে এলাকায় প্রভাব বিস্তার, চাঁদা আদায়, অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের ওপর ডাকাতি ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়নের ঝিমনখালী বিডিআর ক্যাম্প রোডে কয়েকদিন আগে দলবল নিয়ে ডাকাতির জন্য বের হয় মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। রাত আনুমানিক ১০টায় ডিউটিরত বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে দেখে সন্দেহ করে। এক পর্যায়ে ডাকাত দলের অনেকে পালিয়ে গেলেও আবদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে ধরে ফেলে বিজিবি। এসময় তার স্বীকারোক্তিমতে বিজিবি একটি ঘরের চাল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেন।

বিজিবি পরে তাকে অস্ত্রসহ টেকনাফ থানায় সোপর্দ করে এবং তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়। আটক আবদুল্লাহ এখনও কক্সবাজার জেলা কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

অপরদিকে গত ৪ জানুয়ারী রাত আনুমানিক ১০টায় টেকনাফের ঝিমনখালী এলাকায় কিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছিল। এসময় জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে একদল ডাকাত রোহিঙ্গাদের সব কিছু ছিনিয়ে নেয় এবং নারীদের শ্লীলতাহানি করে। এসময় তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে ঘিরে ফেলে। অন্যরা কৌশলে পালিয়ে গেলেও এ সময় ডাকাত জাহাঙ্গীরকে ধরে গণধোলাই দেয় উত্তেজিত জনতা। জাহাঙ্গীর তার কাছে থাকা অস্ত্রটি মাটিতে ফেলে দেয়। পরে স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়ে জাহাঙ্গীরকে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রিপন কুমার দাশ জাহাঙ্গীরকে টেকনাফ হাসপাতালে পাঠানোর নামে অন্যত্র নিয়ে ছেড়ে দেয়। এজন্য তাদের মধ্যে মোটা অংকের অর্থেরও লেনদেন হয় বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

বিষয়টি অস্বীকার করে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রিপন কুমার দাশ বলেন, ঘটনা শুনে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পথিমধ্যে দেখি গ্রাম পুলিশ’র সদস্যরা ডাকাত জাহাঙ্গীরকে ধরে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর পুলিশ আর বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামায়নি।

স্থানীয়রা আরও জানান, জাহাঙ্গীর অস্ত্র মামলার একজন আসামী। তার কাছে এখনো অস্ত্র রয়েছে। গরীব অসহায় যারা রয়েছেন তাদের কাছ থেকেও নিয়মিত চাঁদা আদায় করে সে। সরকার দলের লোক পরিচয় দিয়ে সে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে চলছে।

Exit mobile version