parbattanews

 টেকনাফের বহিরাগত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ (লিখিত) পরীক্ষায় স্থায়ী ঠিকানা জালিয়াতি করে উত্তীর্ণ টেকনাফের বহিরাগত প্রার্থীদের জাতীয়তা সনদ ও জন্মনিবন্ধন যাচাই পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবীতে, স্থানীয় সাংসদ ও জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন টেকনাফের বাসিন্দারা। সচেতন নাগরিক সমাজের নামে স্থানীয় সচেতন ১০ জনের লিখিত স্বাক্ষরে ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার এ আবেদন করা হয়।

এতে উল্লেখ করা হয় টেকনাফের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার ভুয়া জন্মনিবন্ধন ও জাতীয়তা সনদ ব্যবহার করে অনেক ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের ভুল বুঝিয়ে বহিরাগত বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকুরীর সুবাদে টেকনাফে থাকা প্রার্থীরা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। বহিরাগত এসব প্রার্থীরা পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষার পর চুড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হলে কিছুদিনের মধ্যে নিজ জেলায় বদলী হয়ে যাবেন। অতীতে অনেকে এভাবে নিয়োগ হয়ে স্ব-স্ব জেলায় ফিরে যান। ফলে স্থানীয়রা চাকুরী বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি টেকনাফের কৌটা পূরন হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পরবর্তীতে তারা নিজ জেলায় বদলী হয়ে যাওয়ার পর বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে প্রাথমিক শিক্ষার মান দিন দিন খারাপ হওয়া ছাড়াও স্থানীয় শিক্ষকদের উপর অধিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।

আবেদনকারী সাদেকুল আমিন জানান, ২০১৮ সালের রাজস্ব খাতের অধীনে গত ২৪ মে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় ২৪ লাখের মতো পরীক্ষার্থী সারাদেশ থেকে অংশ গ্রহণ করেন। এতে ৫৫ হাজার ১৯৫ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তন্মধ্যে কক্সবাজার জেলায় ৮৫১ জন পরীক্ষাথীর মধ্যে টেকনাফের ১৯৯ জন উত্তীর্ণ হন। এই ১৯৯ জনের মধ্যে বাঁশখালীর বাসিন্দা টেকনাফ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের ভুয়া ঠিকানায় খোকন রুদ্র ও উখিয়ার জয়নাল আবেদীন সহ প্রায় অর্ধশতাধিক টেকনাফের বহিরাগত প্রার্থী রয়েছে। যাচাই বাছাই করে এসব বহিরাগত প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় অযোগ্য ঘোষণা করার আবেদন করেছি।

Exit mobile version