টেকনাফের বাহারছড়ায় বসত বাড়ি ভাংচুর: আতঙ্কে কিশোর কিশোরী ভাই বোন

fec-image

টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালী গ্রামে এক বসত বাড়ি ভাঙচুরের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বসত বাড়ি ভাঙচুরের পর থেকে কিশোর কিশোরী ভাই বোন আতঙ্কে ঘর হারা হয়ে আত্নীয় স্বজনের বাসায় অবস্থান করছে। ভাংচুরের ঘটনাটি কয়েকদিন আগের ঘটনা হলেও ভয়ে কাউকে অভিযোগ করার মতো সাহস করতে পারেনি তারা।

জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত মকবুল আহমদের ছেলে মোঃ মন্জুর ও হাসান আলীর ছেলে আব্দুল করিমের পরিবার পাশাপাশি অবস্থান করতো। এক পরিবার উঁকি দিলে অপর পরিবার দেখতো। তারা নিকটাত্নীয় হয়। হঠাৎ করে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে মারামারিতে মারা যান আব্দুল করিম। এরই প্রেক্ষিতে স্ত্রী খুরশিদা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় মোঃ মনজুর, স্ত্রী আমিনা খাতুন ও ছেলে মোঃ ফোরকানকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমানে মন্জুর তার স্ত্রী আমিনা খাতুন কারাগারে রয়েছে। এ মামলায় কয়েকজন অজ্ঞাতও রয়েছে। স্বামী স্ত্রী আটক হলেও তাদের অপর এক ছেলে রেজাউল করিম (১৭), মেয়ে জোবাইদা আক্তার (১১) বাড়িতে থাকতো। তারা শীলখালী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।

এ ঘটনার জের ধরে নিহতের আত্নীয় স্বজন তাদের বাড়িতে গিয়ে লাঠিসোটা ও দা ছুরি নিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। চালের উপরের টিনগুলো কুপিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে ফেলে। বাড়ির চারপাশের মাটির দেয়াল ভেঙ্গে ফেলায় তাদের অবস্থান করার মতো পরিবেশ বাড়িতে নেই। পাশাপাশি বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন বলে জানান রেজাউল করিম ও জোবাইদা আক্তার।

তারা বলেন, ছব্বির আহমদের ছেলে আবুল কালাম, মৃত কালুর ছেলে মোঃ ফরিদ তার ছেলে লালু ও সোহেল লাঠিসোটা ও দা ছুরি নিয়ে এসে বাড়ি ভাংচুর করে। সেই সাথে আঙ্গিনার আশেপাশের বেশ কয়েকটি ফলজ গাছ কেটে ফেলে। ওই হত্যার ঘটনার কারণে ভয়ে কাউকে অভিযোগ বা বলার সাহস পাচ্ছেনা বলেও জানান । তারা আরো বলেন, আমার পিতা মাতা দোষ করে থাকলে বিজ্ঞ আদালত বিচার করবে। কিন্তু আমাদের উপর অত্যাচার ও হুমকি প্রদান আইনের পরিপন্থি কাজ করছে হামলাকারীরা।

স্থানীয় একাধিক নারী পুরষ জানান , হত্যাকান্ডটি তুচ্ছ ঘটনার কারণে হয়েছিল। পাশাপাশি তারা নিকটাত্নীয় হয়। হত্যার বিচার বিজ্ঞ আদালত নিষ্পত্তি করবে। কিন্তু ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের হুমকি ও ঘর ভাংচুর উচিত হয়নি।

এ ব্যাপারেও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন কিশোর কিশোরীর আত্নীয় স্বজন। এরা আরো জানান, ওই ভাই বোনদের যারা সহযোগিতা করবে, তাদেরও ওই হত্যা মামলার আসামি করার হুমকি অব্যাহত রেখেছেন মোঃ ফরিদ।

এ ব্যাপারে ফরিদ জানান এ সব মিথ্যা, তবে রাগের মাথায় সামন্য টুকটাক ভাংচুর করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী খুরশিদা বলেন, পিতাকে খুন করার কারণে আমার ছোট ছেলে দা নিয়ে ওদের বাড়ির চালে কয়েকটি কোপ দেয়।

স্থানীয় মেম্বার সোনালী বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছিলাম। যারা দোষী তাদের বিচার হবেই। কিন্তু অন্যান্যদের হয়রানি বা গাছ কাটা উচিত হয়নি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: প্রশাসন, ভাঙচুর
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন