parbattanews

টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফাঁকা গুলি করে ব্যবসায়ীকে অপহরণ

কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাজারে অস্ত্রধারীরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে মো. ইউসুফ কালু (৪০) নামের এক স্থানীয় ব্যবসায়ীকে অপহরণ করেছে। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাত ৮টায় টেকনাফের লেদার ২৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।

অপহৃত ব্যবসায়ী মো. ইউসুফ কালু টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব লেদা এলাকার মৃত কামাল হোসেনের ছেলে।

ওই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম জানান, মুখোশধারী একদল সন্ত্রাসী কালুকে অপহরণ করে পশ্চিমে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়।

অপহরণ করার সময় সন্ত্রাসীরা আশপাশের লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছুড়ে। বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত ১৬ এপিবিএন পুলিশকে জানানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা যায়নি।

হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, অপহরণ করে ব্যবসায়ীকে নিয়ে যাওয়ার খবরটি তিনি শুনেছেন। বিষয়টি টেকনাফ থানায় অবহিত করা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে আলীখালি রফিক নামে বার্মা ডাকাত গ্রুপ ও ডাকাত ছালে গ্রুপের সদস্যরা তাকে অপহরণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত অপহৃত ব্যবসায়ীর সঙ্গে কারো যোগাযোগ হয়নি।

এ ব্যাপারে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিমকে ফোন করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এর আগে বুধবার টেকনাফের হোয়াইক্যং চাকমারকুল এলাকাস্থ ২১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিন রোহিঙ্গা যুবক।

তাদের পরিবারের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ২১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কমিউনিটি নেতা (মাঝি) মো. আজিজুল হক।
অপহৃতরা হলেন, হোয়াইক্যং ইউপি চাকমারকুল ২১ নম্বর ক্যাম্পের সি/১ ব্লকের নবি হোসাইনের ছেলে রিজিম উল্লাহ (২৫), একই ব্লকের মো. খলিলের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন (২১) ও ইসমাইলের ছেলে মজিবুল্লাহ (২৬)।

অপহৃতদের পরিবারের বরাত দিয়ে আজিজুল জানান, বুধবার সকাল ১০টার দিকে ওই তিন যুবক ক্যাম্প থেকে বের হন। পরে তারা বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতে ফোন করে জানান, তাদের অপহরণ করে ব্যাপক নির্যাতন করা হচ্ছে। অপহরণকারীরা তাদের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে।

হোয়াইক্যং চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক সরেজ চন্দ্র জানান, বুধবার সকাল ১০টার দিকে তিন রোহিঙ্গা যুবক বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফেরত আসেননি। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সকালে মিয়ানমারের একটি ফোন নম্বর থেকে তাদের পরিবারের কাছে ফোন করে মুক্তিপণের টাকা দাবি করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত সাত মাসে টেকনাফের পাহাড়ে ৭৯ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হলেও অন্যরা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছে। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ৩৯টি।

Exit mobile version