টেকনাফের লবণ মাঠে ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার


কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং উনছিপ্রাং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দেড়টার দিকে টেকনাফ ২ বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ উনচিপ্রাং বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে উনচিপ্রাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১৭ হতে আনুমানিক ১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমকোণে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় মায়ানমার থেকে নাফ নদী অতিক্রম করে চারজন ব্যক্তিকে লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় সীমান্তের শূন্য লাইন হতে আনুমানিক ৬০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মেজরের ঘের নামক স্থানের দিকে (জিআর-৩১৮৩৩৯ এমএস-৮৪সি/৪) আসতে দেখে।
এ সময় ব্যক্তিদের চলাচলের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় কৌশলগত অবস্থানে থাকা বিজিবি টহলদল উক্ত ব্যক্তিদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা দ্রুত দৌড় দেওয়ার সময় তাদের মধ্যে লুঙ্গি দিয়ে পেচানো একটি পোটলা লবণ মাঠে পড়ে যায় এবং চোরাকারবারীরা নাফ নদীতে লাফিয়ে মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।
টহলদল চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া লুঙ্গিতে পেচানো একটি পোটলা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত পোটলার ভিতর থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে।
পরবর্তীতে টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় বিকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি।চোরাকারবারীদেরকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এছাড়া অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার আরও জানান, উদ্ধারকৃত ইয়াবাগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের স্টোরে জমা রাখা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম শেষে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।