parbattanews

টেকনাফের সর্বত্র ঘূর্ণিঝড় মোখা’র ক্ষত মুছতে চেষ্টা চলছে

ঘূর্ণিঝড় মোখা’র ক্ষত মুছতে চেষ্টা চলছে সর্বত্র। কেউ রাস্তা চলাচল উপযোগী করছে। কেউ ঘর-বাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনা মেরামত করছে। এতে ব্যবহার বেড়েছে বাঁশ, ট্রিপল ও টিনের। তাছাড়া সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে খাদ্য সামগ্রী, নগদ অর্থ প্রদান করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। মোখা’য় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো মানসিকভাবে শক্ত হয়ে উঠছে।

ইতোমধ্যে টেকনাফের বিভিন্ন পয়েন্ট জরুরি মেরামত কাজে ব্যবহারের জন্য বাঁশ, ট্রিপল ও টিনসহ মেরামত কাজের জরুরি মালামাল বেচা-বিক্রি শুরু হয়েছে।

টেকনাফ সদরের শীলবনিয়া পাড়ার জসিম উদ্দিন বলেন, “একটি ছোট বাঁশ ৩৫ টাকা। ৭০০ টাকায় ২০টি বাঁশ ও সাড়ে ৩০০ টাকায় একটি ত্রিপল কিনে অন্তত বাড়ি-ঘর মেরামতে হাত দিয়েছি। না হয় বৃষ্টি নামলেই ঘরে আর থাকা যাবে না।”

ট্রিপল ব্যবসায়ী জাকের হোসাইন বলেন, ”৩ টাকায় লবণ চাষীদের কাছ থেকে পুরাতন ট্রিপল কিনে সাড়ে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করছি। উপজেলা প্রশাসন থেকে বলে দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত দাম না নিতে।”

টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরফানুল হক চৌধুরী বলেন,”ঘূর্ণিঝড় মোখা’য় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো জরুরি প্রয়োজনে বাঁশ, ট্রিপল ও টিন ব্যবহার করে ঘেরা বেড়া, ঘরবাড়ি ঠিক করছে। একশ্রেণির ব্যবসায়ী এসব জিনিসের মূল্য বাড়িয়ে বিক্রি করছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাতে অতিরিক্ত দাম না নেয়।

টেকনাফ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুবীর কুমার দত্ত জানান,”ঘূর্ণিঝড় মোখা’য় ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে সরকারিভাবে উপজেলা প্রশাসন আড়াই লাখ নগদ টাকা ও ১০ টন চাল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বরাদ্দ দিয়েছে। বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিজিবি, কোস্ট গার্ড থেকেও ক্ষতিগ্রস্ত একালায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

Exit mobile version