parbattanews

টেকনাফে অগ্নিকাণ্ডে ৬টি বসত-বাড়ি ভস্মিভূত, ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

কক্সবাজার টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ভস্মিভূত হয়ে ৬টি বসত-বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ছয় পরিবারের ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘরের ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজার এলাকার কালা মিয়ার ছেলে আব্দু শুক্কুর ও তাঁর তিন ছেলে কবির আহমদ, জকির আহমদ, মীর আহমদ, নজির আহমদের মেয়ে দেলোয়ারা বেগম।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ভোরে এই অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাটি ঘটে।

আগুনের সূত্রপাত হওয়ার পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন এবং আগুন নিভানোর প্রাণপণ চেষ্টা করেন। তবে ফায়ার সার্ভিস আসার পূর্বেই বসত-বাড়িগুলো আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। টানা তিন ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও কোনো আসবাবপত্র রক্ষা করতে পারেননি।

ভুক্তভোগী আব্দু শুক্কুর জানান, রাত হঠাৎ ঘরের মধ্যে আগুন জ্বলতেছে দেখে দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে গেছি। কিন্তু ঘরের মধ্যে ছোটছোট দুইটা বাচ্চা ঘুমিয়ে ছিল। আবার ফিরে এসে আগুন উপেক্ষা করে বাচ্চা দু’টি বের করে কোনোমতে প্রাণ বাঁচিয়েছি। অনেক চেষ্টা করেও ঘরের মালামাল রক্ষা করতে পারিনি। আমরা গরিব মানুষ, অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে। আমরা সরকারের কাছে সহযোগিতা চাই।

হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী ঘটনাস্থলে পরিদর্শন শেষে বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক পরিবারের মাঝে ৩টি করে কম্বল ও নগদ ৩ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে। যেহেতু তাঁদের ৩০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাই সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান তিনি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান জানান, ভোররাতে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াবাজার এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ছয় পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬ প্যাকেট খাবার (১০ কেজি চাল, ১ লিটার তেল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি লবণ, নুডলস, মরিচ, হলুদ) এবং ১২টি কম্বল বিতরণ করা হয়। পরিবারগুলো খুবই দরিদ্র। তাদেরকে টিন এবং আর্থিক সহায়তার জন্য দরখাস্ত প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।

Exit mobile version