টেকনাফের উপকূলে ভেসে আসা ৩১ রোহিঙ্গার দাফন সম্পন্ন
মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, টেকনাফ:
টেকনাফের উপকূল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩১টি লাশ উদ্ধার হয়েছে। টেকনাফের বঙ্গোপসাগরে ভাসমান মায়ানমার রোহিঙ্গা মৃতদেহের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৬ মে বিকাল ৩টা থেকে ১৭ মে সকাল ১১টা পর্যন্ত স্থানীয় এলাকাবাসী ও টেকনাফ পুলিশের সহযোগিতায় সবমিলিয়ে ৩১জন রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
১৬ মে উদ্ধার হয়েছিল ২৫ জন। বাকীগুলো ১৬মে গভীর রাত থেকে পরদিন সকাল ১১টা পর্যন্ত আরও ৬জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ১৭ মে বিকাল ৩টায় গণ নামাজে জানাযার পর মৃতদেহগুলো গণকবরস্থ করা হয়েছে। তার আগে সরকারীভাবে উচ্চপর্যায়ের উভয় দেশের মধ্যে যোগাযোগ করার পর বাংলাদেশের টেকনাফে মৃতদেহগুলো দাফনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
টেকনাফ পৌরসভার তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত কাফন, দাফন ও জানাযা অনুষ্টানে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন, রোহিঙ্গা ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার ক্যাম্প কক্সবাজার (আরআরআরসি)মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন, টেকনাফস্থ ৪২ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল জাহিদ হাসান, এএসপি উখিয়া সার্কেল ফারুক আহমেদ, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনর্চাজ মো. ড. কামরুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেলিনা কাজী, টেকনাফ পৌরসভার মেয়র হাজী মো. ইসলাম, টেকনাফ মডেল থানার (ওসি তদন্ত) দিদারুল ফোরদৌসসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিকাল ৩টায় ২ দফায় নামাযে জানাজা টেকনাফ পৌরসভার ঈদগাহ ময়দানে টেকনাফ আল-জামিয়া আল ইসলামিয়ার পরিচালক আল্লামা মুফতী কিফায়তুল্লাহ শফিকের ইমামতিতে অনুষ্টিত হয়। জানাযার পর কক্সবাজার জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন ও বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল জাহিদ হাসান প্রেস ব্রিফিং দেন ।
বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল জাহিদ হাসান মিডিয়াকর্মীদের জানান- বিভিন্ন আলামত ও ঘটনার ধারাবাহিকতায় মৃতদেহগুলো মায়ানমারের নাগরিক বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এ ব্যাপারে মায়ানমার নাসাকার সাথে যোগাযোগ করার পর তাদের সম্মতিতে বাংলাদেশে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে ১৬মে গভীর রাতে সাগর সৈকত থেকে লাশগুলো ২টি জীপে করে পুলিশের এপ্রোন পরিয়ে থানার সামনে সুপারী বাজারে রাখা হয়। এতে দুগন্ধে চর্তুদিকে বাতাস ভারী হয়ে উঠে। সাগর থেকে লাশ উদ্ধারসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় টেকনাফ সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আলম এবং টেকনাফ মডেল থানার ওসি তদন্ত দিদারুল ফোরদৌসের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত প্রসংশনীয় ।