টেকনাফে এক লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধার
বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অভিযানে ৩,০০,০০,০০০ (তিন কোটি) টাকা মূল্যমানের ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ২৯ অক্টোবর রাতে বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ শাহপরীরদ্বীপ বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৪ হতে আনুমানিক ১.৫ কি. মি. দক্ষিণে জালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছন দিয়ে বিজিবির একটি বিশেষ টহলদল কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে বেড়ীবাঁধের আঁড় নিয়ে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছিল।
আনুমানিক রাত ২,৩০টায় টহল দল ২ জন দুষ্কৃতিকারীকে ১টি হস্তচালিত কাঠের নৌকাযোগে শূন্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে। টহলদল উক্ত নৌকাটি নিকটবর্তী হওয়া মাত্রই চোরাকারবারীদের চ্যালেঞ্জ করে খুব দ্রুত অগ্রসর হয়। দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিগণ দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই বহনকৃত ১টি ব্যাগ ফেলে দিয়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে নাফ নদীতে ডুব সাঁতার দিয়ে শূন্য লাইন অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে টহলদল উদ্ধারকৃত ব্যাগ তল্লাশী করে ব্যাগের ভিতর হতে ৩,০০,০০,০০০ (তিন কোটি) টাকা মূল্যমানের ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়। ইয়াবা কারবারীদের আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা ও পার্শ্ববর্তী স্থানে পরবর্তী ৫টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন পাচারকারী/তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় ইয়াবা কারবারীদের শনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে তাদের শনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) টেকনাফ সীমান্তের দায়িত্বভার গ্রহণের পর হতে মাদকদ্রব্য পাচার প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত, মানবপাচারসহ সীমান্তে সংঘটিত সকল প্রকার সীমান্ত অপরাধসমূহ প্রতিরোধকল্পে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করে যাচ্ছে। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।