টেকনাফে এক লাখ পিস ইয়াবাসহ দুই মিয়ানমার নাগরিক আটক
কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক দুইটি অভিযানে দুইজন মিয়ানমার নাগরিকসহ এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ধৃতরা হচ্ছে- মিয়ানমারের মংডু থানার নাগপুরা গ্রামের সব্বির আহমদের পুত্র মোঃ রফিক মিয়া (৪২) ও আব্দুল হাকিমের পুত্র মাঃ রুহুল আমিন (২৫)।
টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ উক্ত তথ্য নিশ্চিত করে জানান- সোমবার (৪ নভেম্বর) ভোর রাতে মিয়ানমার হতে হৃীলা বিওপি’র পার্শ্ববর্তী শ্বসানঘাট নামক এলাকা দিয়ে একটি মাদকের চালান এদেশে পাচারের গোপন সংবাদ মেলে। ওই সংবাদের ভিত্তিতে হৃীলা বিওপি’র একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল ওই এলাকায় কৌশলগত অবস্থান নেয়। এসময় ভোর রাত পৌনে তিনটার দিকে দুইজন ব্যক্তি মিয়ানমার হয়ে নাফ নদীর সীমান্ত শূন্য রেখা অতিক্রম করে একটি ব্যাগ হাতে নিয়ে শ্বসানঘাট এলাকার দিকে আসে। উক্ত ব্যক্তিদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় কৌশলগত অবস্থানে থাকা টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে ঘেরাও করে আটক করতে সক্ষম হয়। এসয়ম তাদের হাতে থাকা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগের ভিতর হতে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এদিকে একই দিন অপর একটি অভিযানে উনচিপ্রাং বিওপি’র পার্শ্ববর্তী রমজানের ঘের নামক এলাকা দিয়ে মাদকের চালান আসার গোপন সংবাদে বিজিবি টহল দল বেড়িবাঁধের আঁড়ে অবস্থান নেয়। এসময় ভোর রাত সাড়ে তিনটার দিকে দুইজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে নাফ নদী পার হয়ে রমজানের ঘেরের দিকে আসে। বিজিবি টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে চোরাকারবারীদের হাতে থাকা একটি পোটলা ফেলে দিয়ে রাতের অন্ধকারে পার্শ্ববর্তী ধানক্ষেতের ভিতরে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি সদস্যরা ওই স্থানে তল্লাশি চালিয়ে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া গেঞ্জি দিয়ে মোড়ানো একটি পোটলার ভিতর হতে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
বিজিবি অধিনায়ক জানান- দু’টি পৃথক অভিযানে চোরাকারবারীদের সনাক্ত করার জন্য গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া ধৃতদের টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্থর করা হয়েছে।