টেকনাফে গরু আটকের প্রতিবাদে ৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ : চরম ভোগান্তি


কক্সবাজারের টেকনাফে মাঠে গরু চরার সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা আটক করে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে কক্সবাজার-টেকনাফের প্রধান সড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী। এতে সড়কে শত শত গাড়ি ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত আটকা পড়ে। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রী সাধারণকে।
পরে সমঝোতার মাধ্যমে তিনঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছে।
গরুর মালিক হলেন, টেকনাফের হোয়াইক্যং লম্বাবিলের মো. কালুর ছেলে আবদুর রহিম ও একই গ্রামের মৃত ওলা মিয়ার ছেলে ফজল করিম,আব্দুর রহিমের ছেলে জসিম উদ্দিন ও হাসান আলীর ছেলে মো. শফিউল্লাহ। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে কক্সবাজার – টেকনাফের হাইওয়ে সড়ক দুপুর ১ টা পর্যন্ত হোয়াইক্যং বাজারে এই অবরোধ করেছেন।
ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন বলেন, গত রবিবার ১৫ ডিসেম্বর হোয়াইক্যং বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা আমার সহ মোট ৪ টি গৃহপালিত গরু জমিনে খাবার খাওয়ার জন্য ছেড়ে দিলে সেগুলো বেডীবাঁধ এলাকার দিকে যায়। পরে বিজিবি’র সদস্যরা গরু গুলো আটক করে ক্যাম্পে নেওয়ার পরে কাস্টমস অফিসে জমা করে দেন। এ ঘটনার পরে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিজিবি’র পক্ষ থেকে বলা হয় গরু গুলো টেকনাফ কাস্টমস অফিসে জমা করা হয়েছে। সেখানেও যোগাযোগ করলে গরু ছাড়িয়ে নিতে কাস্টমস অফিস আমাদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। এই গরু ছাড়িয়ে আনতে যত রকমের কাগজপত্র বিজিবি চেয়েছিলো সব দেখানো হয়েছে। তবুও আমাদের গৃহপালিত গরু গুলো ফেরত পাইনি। ৮ দিন ধরে হয়রানি হয়ে কোন উপায় না পেয়ে সড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, সকাল ১০টা থেকে হাইওয়ে সড়ক অবরোধ ও প্রতিবাদ শুরু করলে দুপুর ১টার দিকে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও পুলিশের অনুরোধে আমরা অবরোধ তুলে নিয়েছি। তবে আমাদের গরু এখনো ফেরত পাইনি।
এ ব্যাপারে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
টেকনাফের হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই মো. মোজাহার হোসেন বলেন, কক্সবাজার-টেকনাফ হাইওয়ে সড়ক, হোয়াইক্যং বাজারের সড়ক অবরোধ ও শতশত গাড়ি আটকা পড়ে যানজট সৃষ্টির খবর পেয়ে পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলা হয়। তাদের কথা শুনে পরে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গদের সহযোগিতায় সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পরে যানজট স্বাভাবিক হয়ে যায়।