parbattanews

টেকনাফে চিকিৎসকের করোনা শনাক্তে ব্যাংক, ক্লিনিকসহ ১২টি দোকান লকডাউন

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসক করোনা শনাক্ত হওয়ায় তার সংস্পর্শে আসা প্রায় সব প্রতিষ্ঠান লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।

রবিবার(২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল মনসুরের নেতৃত্বে পুলিশসহ স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম গিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান লকডাউন করে সীলগালা করা, ব্যানার ও লালপতাকা ঝুলিয়ে দেন।

লকডাউন করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, টেকনাফ শাখা, টেকনাফ মেরিন সিটি প্রাইভেট হাসপাতাল ও হাসপাতাল গেইট এলাকা সংলগ্ন ফার্মেসীসহ ১২টি দোকান।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল ।

কক্সবাজারে এই প্রথম কোন বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা এবং প্রাইভেট হাসপাতাল লকডাউন করা হলো। করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া উক্ত নারী চিকিৎসক রবিবার সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, টেকনাফ শাখায় টাকা উত্তোলন করতে গিয়েছিলেন এবং মেরিন সিটি প্রাইভেট হাসপাতালে রোগী দেখতে গিয়েছিলেন।

তবে ৩ জন প্রসুতি নারী থাকায় শুধুমাত্র তাদের ৩টি কেবিন আগামী ২ দিনের জন্য মানবিক কারণে খোলা রেখে টেকনাফ মেরিন সিটি প্রাইভেট হাসপাতালটির অবশিষ্ট অংশ পুরো লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে বলে ডা. টিটু চন্দ্র শীল জানান।

টেকনাফ উপজেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডা. টিটু চন্দ্র শীল আরো বলেন, রবিবার করোনা শনাক্ত হওয়া উক্ত নারী চিকিৎসকের সাথে এই হাসপাতালের প্রায় সকলে সংস্পর্শে গেছেন। তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে অধিকতর নিরাপত্তার প্রয়োজনে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোর, ইনডোর সম্পূর্ন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও প্রসুতি বিভাগ সীমিত আকারে খোলা রাখা হয়েছে।

এ দুটি বিভাগের জন্য অতি প্রয়োজনীয় স্বল্প সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্টাফ রেখে বাকীদের বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দায়িত্বশীল চিকিৎসক জানান, এ অবস্থায় টেকনাফে সার্বিক চিকিৎসা সেবা চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে।

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা আক্রান্ত তিন রোগী ভর্তি থাকায় ৯ জন চিকিৎসক, ১৬ জন নার্স ও ২৮ জন কর্মচারীসহ মোট ৫৩ জনের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে টেস্টের জন্য পাঠানো হয়। ৫৩ জনের মধ্যে কর্মরত এক মহিলা চিকিৎসকের রিপোর্ট পজেটিভ পাওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, এই প্রথম কক্সবাজার জেলায় একজন চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলো। রবিবার (২৬ এপ্রিল) পর্যন্ত কক্সবাজারে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মোট ১৫ জন।

Exit mobile version