টেকনাফে ডাকাত ও অপহরণকারী অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের টেকনাফে ডাকাত ও অপহরণকারী চক্রের দলনেতা বদরুদ্দোজা ওরফে বদরুজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযানে তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ।
বদরুদ্দোজা টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী গ্রামের মাওলানা সোমলতান আহমদের ছেলে।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) ভোর সাড়ে চারটার দিকে বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালী ঝাউবাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গিয়াস উদ্দিন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, বদরুদ্দোজা অপহরণ ও ডাকাতি সংক্রান্ত ৭টি মামলার পলাতক আসামি। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে ২টি ওয়ান শুটার গান, ১টি বন্দুক, ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২টি কিরিচ, ১টি রাম দা এবং ১টি চাইনিজ কোড়াল উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও বলেন, বদরুদ্দোজা দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ি এলাকায় একটি ভয়ঙ্কর অপহরণ চক্র পরিচালনা করে আসছিল। তার নেতৃত্বে বাহারছড়া ও হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়মিত অপহরণের ঘটনা ঘটত। সম্প্রতি তার দল ডা. জহির ও হোয়াইক্যংয়ের ১১ জন কৃষককে অপহরণ করে মুক্তিপণের মাধ্যমে ছেড়ে দেয়, যা এলাকায় তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করে।
পুলিশ জানায়, বদরুদ্দোজা অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা কঠিন ছিল। বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে তাকে আটক করতে ব্যর্থ হচ্ছিল। তবে রবিবার ওসি গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি বিশেষ অভিযানে বাহারছড়ার ঝাউবাগান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে বদরুদ্দোজা স্বীকার করে যে, হোয়াইক্যংয়ের গফুর নামে একজনের কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে শীলখালীর পাহাড়ি এলাকায় ডাকাত জলিলের বাড়িতে মজুদ রাখা হত। এই অস্ত্রগুলো অপহরণের সময় ব্যবহার করা হতো। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাত জলিলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে লাকড়ির স্তুপ থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত বদরুদ্দোজার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উল্লেখ্য, তার বিরুদ্ধে ৭টি ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা রয়েছে।