পাত্রী দেখতে গিয়ে অপহরণ

টেকনাফে নিখোঁজ ৩ বন্ধুর লাশ উদ্ধার, আটক ১

fec-image

কক্সবাজারের টেকনাফে ছোট ভাইয়ের জন্য পাত্রী দেখতে গিয়ে মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত তিন বন্ধুর মৃতদেহ ঘটনার ২৬ দিন পর উদ্ধার করেছে র‍্যাব।এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

বুধবার (২৪ মে) বিকাল ৫ টায় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া সংলগ্ন গহীন পাহাড়িএলাকায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সাইফুল ইসলাম সুমন।

নিহতরা হলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমের ছেলে জমির হোসেন ওরফে রুবেল (৩৫), কক্সবাজার পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম বাহারছড়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ কবিরের ছেলে মোহাম্মদ ইউছুপ (৩৪) এবং একই পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ ইমরান (৩৩)। নিহতরা তিনজনই পরস্পরের বন্ধু।

তবে আটকৃত ব্যক্তির নাম ও পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।

গত ২৮ এপ্রিল টেকনাফে ছোট ভাইয়ের বিয়ের পাত্রী দেখতে যান কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের উত্তরপাড়ার মোহাম্মদ আলমের ছেলে পেশায় লবণ ব্যবসায়ি জমির হোসেন ওরফে রুবেল (৩৫)। তার সঙ্গে টেকনাফ গিয়েছিলেন ইমরান ও ইউছুপ নামের আরও দুই বন্ধু। ওইদিন বিকালে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের রাজারছড়া এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে তাদের জিন্মি করে গহীণ পাহাড়ে নিয়ে যায় অজ্ঞাত একদল দূর্বৃত্ত।

পরদিন সকালে অপহৃত জমির হোসেন ওরফে রুবেলের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন থেকে কল দিয়ে মুক্তিপণ বাবদ ৩০ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারিরা। পরে গহীণ পাহাড়ে তাদের বেঁধে রেখে মারধর ও নির্যাতনের ভিডিও চিত্র পাঠায় স্বজনদের কাছে। আর মুক্তিপণের টাকা না দিলে জিন্মিদের প্রাণনাশেরও হুমকী দেওয়া হয়েছে।

নিহতের স্বজনদের বরাতে লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, ঘটনার পর থেকে ভূক্তভোগীদের স্বজনরা র‍্যাব সহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সংস্থার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিল। কিন্তু টেকনাফের গহীন পাহাড়ী এলাকায় দুষ্কৃতিকারিরা বার বার স্থান পরিবর্তন করায় তাদের অবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছিল না।

“এক পর্যায়ে মঙ্গলবার সকালে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অপহরণকারি চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে বুধবার বিকালে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া সংলগ্ন গহীন পাহাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। “

র‍্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ” ধারণা করা হচ্ছে- অন্তত ১৫ দিন আগে তাদের হত্যা করা হয়েছে। মৃতদেহগুলো পঁচে গলে কংকার হয়ে গেছে। “

পুলিশ মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান লে. কর্ণেল সাইফুল ইসলাম।

তিনি জানান, টেকনাফের দমদমিয়া সংলগ্ন গহীন পাহাড়ী এলাকায় এখনো অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।

বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে বলে জানান লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: উদ্ধার, টেকনাফ, নিখোঁজ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন