parbattanews

টেকনাফে পঙ্গপাল সদৃশ পোকা পঙ্গপাল নয়, আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ কৃষি বিভাগের

কক্সবাজারের টেকনাফে পঙ্গপাল সদৃশ পোকা পঙ্গপাল নয় বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। শুক্রবার দুপুরে পরিদর্শন শেষে কক্সবাজার জেলা কৃষি কর্মকর্তা এ কথা বলেন। তিনি এ সম্পর্কে আতঙ্কিত না হতে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন। এটি প্রাথমিকভাবে ফসলের জন্য ক্ষতিকর নয় বলেও জানানো হয়।

জেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী পরিচালক মো. আবুল কাশেম আজ দুপুরে টেকনাফে পোকা পরিদর্শনে যান। এসময় জাতিসংঘের ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের ৩ জন কর্মকর্তা পরিদর্শন করেন।

পঙ্গপালের মতো ফসল খেকো পোকার সন্ধান পায় কৃষি অধিদপ্তর। দেখতে ফড়িং এর মতো এসব পোকা দল বেধে গাছের পাতা ও ডালে বসে একের পর এক পাতা খেয়ে ফেলছে। এতে উদ্বেগ ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। দেখতে অনেকটা পঙ্গপালের মতো হাজার হাজার পোকা সাবাড় করে টেকনাফের একটি বাগানের গাছের পাতা।

বাগান মালিক বিষয়টি ১৮ এপ্রিল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা যাচাই করে কিটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেয়। ওই পোকা সংগ্রহ করে জেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। জেলা কৃষি কর্মকর্তা ওই পোকা ঢাকায় কৃষি অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পতঙ্গবিজ্ঞান বিভাগে গবেষণার জন্য পাঠায়।

বাগান মালিক সোহেল সিকদার জানান, কিটনাশক ছিটানোর পর এসব পোকা মরে যায়। আজ দুপুরে কৃষি বিভাগ থেকে একটি টিম এসে যাচাই করে। এ সময় কিটনাশক স্প্রে করা হয়। এসময় কিছু পোকাও সংগ্রহ করেন তারা।

জেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী পরিচালক মো. আবুল কাশেম জানান, পঙ্গপাল বলে প্রচার হওয়ায় দ্বিতীয় বারের মত পরিদর্শন করেছি। এগুলো পঙ্গপাল নয়। কীটনাশক স্প্রে করার পর পোকা নেই। এ ধরনের পোকার ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। একই সাথে জাতিসংঘের ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের ৩ জন কর্মকর্তা পরিদর্শন করেছেন।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের একটি উচ্চ পর্যায়ের বিজ্ঞানী দল সরেজমিন যাচাই করার জন্য ঢাকা থেকে টেকনাফের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন। কাল শনিবার এ বিজ্ঞানী দল টেকনাফ গিয়ে সরেজমিন যাচাই করবেন।

Exit mobile version