parbattanews

টেকনাফে পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কায় সরে যেতে মাইকিং

কক্সবাজারের টেকনাফে টানা ভারী বর্ষণে পাহাড় ধ্বসের আশংকায় টেকনাফ উপজেলায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণস্থানে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

প্রবল বর্ষণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ পুরো উপজেলায় প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং অনেকের রাস্তাঘাটের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। গত কয়েক বছরে স্মরণ কালের ভয়াবহ পাহাড় ধ্বস ও ভূমিকম্পনের ঘটনায় এ করুণ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল।

উপজেলা প্রশাসন বিগত বছরগুলোর করুণ ট্রাজেডি স্মরণ করেও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে প্রচারণা চালালেও এবার পাদদেশে বসবাসকৃতরা স্ব-ইচ্ছায় সরে যাচ্ছেন না।

এদিকে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারের ৩০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ভারী বর্ষণের কারণে ইতোমধ্যে টেকনাফ – সেন্টমাটিন নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে এবং পাহাড়ে ঝুকির্পূণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুল্লাহ মনির বলেন, আষাঢ়ের শুরুতে এমন ভারী বর্ষণ হবে সম্ভবত কেউ আগে ধারণা করেনি। তাই অনেকে প্রস্তুতি নিতেও পারেনি। সেজন্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হবে বলে মনে হচ্ছে।

এছাড়া রোহিঙ্গাদের কারণে টেকনাফ উখিয়ায় এখন কোন পাহাড় অক্ষত নেই। তাই এখানে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নেই। পাহাড় ধ্বসের ঘটনা যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মো. আলী বলেন, হঠাৎ করে প্রচুর বৃষ্টি হওয়াতে সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। তবে নালা নর্দমা ভরাট হয়ে পানিতে তলিয়ে গেছে। এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পাহাড় ধসেরও আশঙ্কা রয়েছে। তাই বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় থেকে মানুষদের সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, পাহাড়ের ঢালু ও পাদদেশে যারা বসবাস করছে তাদেরকে সরে যাওয়ার জন্য সিপিপির মাধ্যমে বারবার বলা হয়েছে এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তাদেরকে মাইকিংও করা হয়েছে।

Exit mobile version