টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নারী নিহত : প্যানেল চেয়ারম্যান আটক
কক্সবাজার টেকনাফে পুলিশের পৃথক অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে সমুদা বেগম (৪০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। অপর অভিযানে ২০ হাজার ইয়াবাসহ হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহেদ হোসেন আটক হন।
নিহত নারী হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সাতঘরিয়াপাড়া মৃত নুর সালামের সহধর্মিনী। পুলিশের দাবি উভয়ে মাদক কারবারি এবং জাহেদ মেম্বার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত গডফাদার।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) ভোর রাতে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী মগপাড়ার পাশে লবণের মাঠে পুলিশের সঙ্গে একদল মাদক ব্যবসায়ীর বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ওই নারী নিহত হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ থানা পুলিশের একটি দল খারাংখালী মগপাড়ায় ইয়াবা উদ্ধারে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে মাদক কারবারি ও অস্ত্রধারীরা। পুলিশও আত্বরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। বেশ কিছু সময় গুলি বিনিময়ের পর অস্ত্রধারীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার ইয়াবাসহ ওই নারীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে কক্সবাজার সদর হাসাপাতাল প্রেরণ করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপর দিকে শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মহেশখালিয়া পাড়ায় অভিযান চালিয়ে জাহেদ হোসেন (৪০) নামের এক ইউপি সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য, পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, জাহিদ হোসেনের নাম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা মাদক কারবারিদের তালিকায় ৬১ নম্বরে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যায় মহেশখালিয়া পাড়ায় এক মাদক কারবারির বাড়িতে ইয়াবার চালান মজুদের খবরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় সন্দেহজনকভাবে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জাহিদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায় ২০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট এবং নগদ ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ইয়াবা ও নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার এই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানান প্রদীপ।