টেকনাফে বিজিবি’র অভিযানে ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার
বিজিবি’র অভিযানে টেকনাফের দমদমিয়া বিওপি ‘র জালিয়ারদ্বীপ এলাকা থেকে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (৭ মে) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এ বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ দমদমিয়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৮ হতে আনুমানিক ৫০০ গজ উত্তর-পূর্ব দিকে কেয়ারী লঞ্চ ঘাট এলাকা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ দমদমিয়া বিওপি হতে একটি বিশেষ টহলদল বর্ণিত স্থানে গমন কর দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষারত থাকে। আনুমানিক রাত ৪টার দিকে টহলদল একজন চোরাকারবারীকে জালিয়ারদ্বীপ হতে একটি ককশীট দিয়ে তৈরীকৃত ভেলা যোগে নাফ নদী দিয়ে কেয়ারী ঘাটের দিকে আসতে দেখে। টহলদল উক্ত চোরাকারবারীকে দেখা মাত্রই চ্যালেঞ্জ করে খুব দ্রুত তার দিকে অগ্রসর হয়। বিজিবি’র উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই উক্ত চোরাকারবারী ভেলা হতে লাফিয়ে সাঁতার দিয়ে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা বিজিবি টহলদল স্পীডবোটের মাধ্যমে উক্ত ভেলাটিকে আটক করতে সক্ষম হয় এবং ভেলা হতে ৯০ লাখ টাকা মূল্যমানের ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
ইয়াবা উদ্ধারের পর ওই এলাকা ও পার্শ্ববর্তী স্থানে পরবর্তী রাত ৫টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তার সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় চোরাকারবারীকে সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে তাকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) সদা জাগ্রত হয়ে বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে “DEFENDER OF THE STRATEGIC SOUTH” হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সীমান্ত সুরক্ষা ছাড়াও চোরাচালান, মাদকদ্রব্য, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় সীমান্ত অপরাধ দমনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে যথাযথ ও কার্যকরীভাবে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে বেসামরিক পরিমন্ডলে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করে আসছে।