টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ৮০ হাজার ইয়াবা ও দুই কেজি আইস উদ্ধার

fec-image

কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা মূল্যের ২ কেজি ১২০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ৮০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, রাত ১টা ৪০ মিনিটে ২ বিজিবি এর অধীনস্থ খারাংখালী বিওপি’র সাড়ে চার কি. মি. নামক এলাকায় নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। এ সময় টহলদল দুইজন ব্যক্তিকে নাফ নদী পার হয়ে বেড়ীবাঁধের দিকে আসতে দেখে এবং তাদের গতিবিধি সন্দেহ হওয়ায় টহলদল চ্যালেঞ্জ করে দ্রুত তাদের দিকে অগ্রসর হয়। উক্ত ব্যক্তিগণ বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই বহনকৃত একটি ব্যাগ ফেলে রাতের অন্ধকারের সুযোগে সাঁতার দিয়ে দ্রুত মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।

পরে টহলদল ঘটনাস্থলে চোরাকারবারিদের ফেলে যাওয়া একটি প্লাষ্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। ব্যাগটি তল্লাশি করে ২.১২০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ৩০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। জব্দকৃত মাদকদ্রব্যের সিজারমূল্য ১১ কোটি ৫ লাখ টাকা। পরে টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় সকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোনো চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে অন্য কোনো অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি, বিধায় চোরাকারবারিদের শনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। চোরাকারবারিদের শনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

অপরদিকে, আনুমানিক সকাল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে ২ বিজিবি এর অধীনস্থ হোয়াইক্যং চেকপোস্টে নিয়মিত তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনাকালীন সময় একটি ইজিবাইক চেকপোস্টের নিকট আসলে কর্তব্যরত বিজিবি সদস্য কর্তৃক তল্লাশির জন্য থামার সংকেত দিলে ইজিবাইকের চালক সংকেত অমান্য করে দ্রুত সামনের দিকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। কর্তব্যরত টহলদল ইজিবাইকটিকে ধাওয়া করলে এক পর্যায়ে চলন্ত অবস্থায় চালক ইজিবাইক থেকে লাফ দিয়ে দ্রুত পার্শ্ববর্তী গ্রামের দিকে পালিয়ে যায় এবং ইজিবাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পার্শ্বে ধান ক্ষেতে নেমে পড়ে।

পরে ইজিবাইকে তল্লাশি করে সিটের নিচ থেকে একটি প্লাষ্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ব্যাগ তল্লাশি করে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

এছাড়াও অবৈধভাবে মাদক বহনের দায়ে বর্ণিত ইজিবাইকটিও জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মাদকদ্রব্য এবং ইজিবাইকের সিজার মূল্য ১ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। উক্ত স্থানে অন্য কোনো অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় চোরাকারবারীদের শনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। চোরাকারবারীকে শনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি আরো জানান, জব্দকৃত মালিকবিহীন ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের স্টোরে জমা রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম শেষে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আইস, ইয়াবা, বিজিবি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন