টেকনাফে বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে মাদক পাচারকারী নিহত, ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার

fec-image

টেকনাফে মাদকের চালান খালাস করতে গিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মাদক পাচারকারীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছে।

ঘটনাস্থল হতে বস্তাবর্তী ১লাখ ইয়াবা, ১টি দেশীয় অস্ত্র ও ১টি খালি খোসাসহ গুলিবিদ্ধ অজ্ঞাত মাদক কারবারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সে মিনা বাজারের আবু ছিদ্দিকের পুত্র মো. মামুন (২৩)। এই ঘটনায় বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়েছে।

১৪ নভেম্বর (রোববার) ভোর রাত ২টার দিকে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঝিমংখালী বিওপির বিশেষ টহল দলের সাথে মাদক পাচারকারীদের গুলাগুলির এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঝিমংখালী বিওপির বিশেষ টহল দল মাদকের চালান পাচারের সংবাদ পেয়ে মিনাবাজার ও নয়াবাজার সংলগ্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর ৪-৫ জন লোক মৎস্যঘেঁর হয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। তখন বিজিবি জওয়ানেরা তাদের দাঁড়ানোর জন্য চ্যালেঞ্জ করে সামনের দিকে অগ্রসর হলেই দূবৃর্ত্তরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে বিজিবির নায়েক সাজদার রহমান (৩৭) এবং ল্যান্স নায়েক মোস্তফা আলী (৩২) আহত হয়। তখন বিজিবি জওয়ানেরা সরকারি সম্পদ ও আত্মরক্ষার্থে কিছুক্ষণ পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে স্বশস্ত্র মাদক কারবারী গ্রুপের সদস্যরা কৌশলে পালিয়ে যায়।

 আহত বিজিবি সদস্যরাসহ গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারীকে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে আহত বিজিবি সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। মৃতদেহটি পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদরের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (বিজিবিএম,পিএসসি) জানান, হোয়াইক্যং মিনা বাজার সীমান্তে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় আহত বিজিবি জওয়ানদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া মাদক কারবারীর মৃতদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ব্যাপারে তদন্ত স্বাপেক্ষে পৃথক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে স্থানীয় সূত্রমতে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মিনা বাজারে স্বশস্ত্র একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে মৎস্যঘেঁরের আড়ালে মাদক কারবার করে রেখেছে। তারা এই কারবার সহজ করার জন্য চড়ামূল্যে মৎস্যঘেঁর লীজ নিয়ে এই অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে। তাদের কারণে প্রকৃত মৎস্য চাষীরা চরম বেকায়দায় রয়েছে বলে জানা গেছে। এই ধরনের মাদকের চালান খালাসের সাথে সম্পৃক্ত মিনা বাজার, নয়াবাজার ও খারাংখালী এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারীদের কঠোর হাতে দমনের দাবী উঠেছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন