কক্সবাজার প্রতিনিধি:
টেকনাফে হ্নীলা বিওপি জওয়ানেরা খারাংখালী সীমান্ত পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি।
ঘোর মাদক বিরোধী অভিযানের মধ্যেও বেশ কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে চালান খালাসকারী ও সিন্ডিকেট তৎপরত থাকায় জনমনে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত( ১৫ নভেম্বর) ১টারদিকে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার খারাংখালী আড়াই নম্বর স্লুইচ গেইট এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান আসার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হ্নীলা বিওপির একটি বিশেষ টহলদল উক্ত এলাকায় যায়। কিছুক্ষণ পর নাফনদীর শূণ্যরেখা অতিক্রম করে ৩জনের একটি নৌকা বাংলাদেশ সীমান্তে আসলে বিজিবি জওয়ানেরা চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় সীমান্তে অবস্থান করা বাংলাদেশী ২জনের মধ্যে একজন একটি পুটলা ফেলে অন্ধকারে পালিয়ে যায় এবং অপর ৪জন নৌকাযোগে মিয়ানমারের দিকে চলে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ১টি পুটলা উদ্ধার করে ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে গণনা করে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার ৪০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। যা পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করার জন্য ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে।
এদিকে টেকনাফে ঘোর মাদক বিরোধী অভিযানের মধ্যেও নয়াবাজার, খারাংখালী, মৌলভী বাজার, হোয়াব্রাং ও হ্নীলা সুলিশ গেইট, লেদা, মোচনী, জাদিমোরাসহ ১৫/২০টি পয়েন্টে এখনো মাদকের চালান বহনকারী ও চিহ্নিত মাদক কারবারী সিন্ডিকেট সক্রিয় থাকায় এই সর্বনাশা মাদকের চালান বন্ধ করা যাচ্ছে না। তদন্ত স্বাপেক্ষে উক্ত এলাকার মাদক সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।