parbattanews

টেকনাফে বুকে রড ঢুকে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

টেকনাফের ‘ক্রাইম জোন’ খ্যাত মহেশখালীয়া পাড়ায় বুকে রড ঢুকে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার (৩০ জুন) সকাল ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহেশখালীয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

নিহত শিশু মহেশখালীয়াপাড়া গ্রামের ছৈয়দুল ইসলামের মেয়ে ফাহিমা আক্তার (৫)। জানাজার নামাজ শেষে শনিবার বিকেলে তাকে স্থানীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

টেকনাফ হাসপাতালে আসা নিহত শিশুর মা নুর বেগম জানান, সাথীদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে অসতর্কাবস্থায় পড়ে গিয়ে ফাহিমা আক্তারের বুকে নির্মাণাধীন রড ঢুকে। এসময় ফাহিমার পিতা বাড়িতে ছিলেন না। ফাহিমাকে দ্রুত উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ফাহিমারা ৩ বোন। কোন ভাই নেই। ৩ মেয়ের মধ্যে ফাহিমা মেঝ।

টেকনাফ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসকগণ জানান, হাসপাতালে পৌঁছার অনেক আগেই শিশুটি মারা গিয়েছে। তবুও বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় তাৎক্ষনিক টেকনাফ মডেল থানাকে অবহিত করা হয়। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

এদিকে, নিহত শিশু ফাহিমার চাচার অবৈধ অস্ত্র হাতের নাগালে পেয়ে খেলনা বন্দুক মনে করে সমবয়সী চাচাত ভাই-বোনদের সাথে খেলতে গিয়ে গুলিতে মারা গিয়েছে বলে সর্বত্র গুজব ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা চলছে।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়া গুজবের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে বলেন ‘বিষয়টি জানার পর পরই একাধিকবার গোপনে ও প্রকাশ্যে তদন্ত করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে খেলার সময় অসতর্কাবস্থায় পড়ে গিয়ে বুকে রড ঢুকেই ফাহিমা আক্তার মারা গিয়েছে। ফাহিমা আক্তারের পিতা ছৈয়দুল ইসলাম পেশায় মৎস্যজীবি।

প্রতিপক্ষকে ঘায়েল ও হয়রানী করতে গ্রুপিংয়ে লিপ্ত কিছু লোক মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে বলে তিনি জানান।

Exit mobile version