টেকনাফে মানবপাচার চক্রের ৬ সদস্য আটক


টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৬ জন মানব পাচারকারীকে আটক করেছে। নস্যাৎ করেছে মানবপাচারকারীদের পরিকল্পনা। শাহপরীরদ্বীপের মিস্ত্রিপাড়া এলাকা হতে মানব পাচার চক্রের ওই ৬ জন সক্রিয় সদস্যকে হাতেনাতে আটক করে বিজিবি।
রবিবার (৫ অক্টোবর) টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আটককৃত পাচারকরারীরা হচ্ছে টেকনাফের সাবরাং মিস্ত্রি পাড়ার প্রবাসী মো. শাকেরের স্ত্রী শামসুন্নাহার (৩৫),উখিয়া উপজেলার ২০ নং বালুখালী এফডিএমএন ক্যাম্পের মৃত জালালের স্ত্রী হোসনে আরা (৩১),আবুল হাশেমের পুত্র মোহাম্মদ ইসমাইল (৫০),
টেকনাফের ২৬ নং শালবাগান এফডিএমএন ক্যাম্পের মৃত সৈয়দ আকবরের স্ত্রী নুরুন্নিসা (৪৯),সৈয়দ আহমদের পুত্র ইউসুফ আলী (৪৭),১৫ নং জামতলি এফডিএমএন ক্যাম্পের আবু সামাদের পুত্র হারুন (৩৫), পিতা- আবু সামাদ।
বিজিবি সুত্রে জানা যায়, গত শনিবার সাগর পথে মিয়ানমার হতে পাচার করে বেশ কিছু বিদেশি নাগরিককে পাচারকারী চক্র টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপের মিস্ত্রিপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে লুকিয়ে রাখে। পরে তাদেরকে টেকনাফ- উখিয়া উপজেলারর বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এমন গোপন সংবাদ ও পাচারকারীদের এই তৎপরতা আঁচ করতে পেরে বিজিবি তাৎক্ষণিকভাবে শাহপরীরদ্বীপের মিস্ত্রিপাড়া এলাকার জনৈক শামসুন্নাহারের বাড়ি ঘেরাও করে। এসময় বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারী চক্রের দুইজন বাড়ির পিছনের দিক দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবির টহল দল দ্রুত বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে প্লাস্টিকের ছাউনি দেওয়া একটি ঘর থেকে বাড়ির মালিক শামসুন্নাহারসহ মানব পাচারকারী চক্রের ৬ জন সদস্যকে আটক করে।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বাড়ির মালিক শামসুন্নাহার টাকার বিনিময়ে পাচার করে আনা লোকজনকে সাময়িকভাবে তার বাড়িতে লুকিয়ে রাখতেন। তারা মিয়ানমার থেকে লোকজনকে অবৈধভাবে পাচার করে এনে বিভিন্ন ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তাদেরকে FDMN কার্ড (Forcibly Displaced Myanmar Nationals) পেতে সাহায্য করে।
টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে কর্ণেল আশিকুর রহমান জানাান, বিশেষ এ অভিযানটি মাদক ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে বিজিবি’র জিরো টলারেন্স নীতিরই দৃষ্টান্ত। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং মানুষের জীবন রক্ষায় এই ধরনের সাহসী ও কার্যকরী প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো জানান, মানব পাচার চক্রের ধৃত সদস্যদেরকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর এবং তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা রয়েছে। এঘটনায় আরো ২ জন অজ্ঞাতসহ কালু মিয়া (৩৫) ও হাশেম মোল্লা (২৫) নামের ২ জনকে পলাতক আসামি করা হয়েছে।

















