কক্সবাজার টেকনাফে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মানব পাচার মামলার ৫ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) ভোররাতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গ্রেফতার হলো, টেকনাফ সদর ইউনিউয়নের তুলাতলী গ্রামের মৃত হোছন আহমদের দুই ছেলে আব্দুর রশিদ (২৭) ও মো. বেলাল (২০), মৃত আমির হামজার ছেলে আব্দুর রহমান (৫৫), টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ঝিমংখালী গ্রামের মো. কালুর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৬) ও আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর (১৯)।
এ সময় টেকনাফ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি এলাকা হতে মো. শাহেদ (১৭) নামের এ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়ছে। উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগী কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ঝিমংখালী গ্রামের মো. আজিজুল হকের ছেলে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আব্দুল হালিম সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার (৪ নভেম্বর) ভোররাত রাত পৌনে ১টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মানব পাচারের সাথে জড়িত এজাহারনামীয় ৫ জন আসামিকে গ্রেফতার ও একজন ভিকটিম উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, সিকদার আহমেদ নামের একজন অভিযোগ করেন গত ২৮ অক্টোবর থেকে তার এক ছেলে নিখোঁজ রয়েছে। এর সূত্র ধরে অভিযান চালানো হয়।
এ বিষয়ে আসামিদের পরবর্তী আইনি কার্যক্রম গ্রহণের জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয় বলেও জানান ওসি মো.আবদুল হালিম।
এদিকে আটক আব্দুর রহমানের ছেলে মিজান অভিযোগ করেছে তার বয়স্ক পিতা সুপারি ব্যবসা ও কৃষিকাজ করে সংসার পরিচালনা করেন। মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে জনৈক কামালকে না পেয়ে নিকট আত্মীয় হওয়ায় তার পিতাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোহাম্মদ হোসাইন জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক ও ভিকটিম উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপরাধে জড়িত নেই এমন ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয় তা বিবেচনায় রয়েছে।
