টেকনাফে যুবলীগ সভাপতিকে হত্যাকারি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোলাগুলিতে নিহত

fec-image

কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলার জাদিমুড়া এলাকায় পুলিশের সাথে গোলাগুলিতে আরো এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। তিনি যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক হত্যায় অভিযুক্ত বলে দাবি করেছে পুলিশ। সোমবার (২৬ আগস্ট) ভোররাতে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত ও একটি এলজি, ৫ রাউন্ড তাজা ও ৮ রাউন্ড খালি খোসা জব্দ হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

নিহত মো. হাসান মিয়ানমারের আকিয়াবের মংডুর বাসিন্দা হামিদউল্লার ছেলে। তিনি বর্তমানে জাদিমুড়া ক্যাম্পের আশ্রিত।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, টেকনাফের ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার (নং-৫৯/২০১৯) পলাতক আসামীরা জাদিমুড়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করছে সংবাদে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই রাশেল আহামদ রাত দেড়টার দিকে অভিযানে যায়। জাদিমুড়া এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতারি গুলি করতে থাকে।

সন্ত্রাসীদের ছোরা গুলিতে পুলিশ সদস্য এস আই সাববির, (কং-৯৯৯) বাহার উদ্দীন ও (কং-৯৩২১) লিটন গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ১০ রাউন্ড গুলি করে। উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে হত্যা মামলার আসামি হাসান গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। গুলিবিদ্ধ হাসানকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে ১টি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ৫টি শর্টগানের তাজা কার্তুজ ও ৮ (বার) রাউন্ড কার্তুজের খোসা পাওয়া যায়। গোলাগুলির ঘটনায় পৃথক আইনে মামলা রুজু করা হচ্ছে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওসি।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে জাদিমুরা এলাকায় বাড়ির সামনে থেকে ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ফারুককে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে একদল সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় হাসানসহ এ পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: গোলাগুলি, রোহিঙ্গা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন