parbattanews

টেকনাফে রোহিঙ্গাদের কাঁটাতারের ঘেরায় আবদ্ধ স্থানীয় বাঙালি : মানববন্ধন ও প্রতিবাদ

টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত কাঁটাতারে স্থানীয় জনগোষ্ঠী বাঙালিদেরও আবদ্ধ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। মানববন্ধনে স্থানীয় ৯ নং ওয়ার্ডের শত শত নারী-পুরুষ বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্লে কার্ড নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় হ্নীলার জাদিমুড়াস্থ কক্সবাজার-টেকনাফের প্রধান সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় স্থানীয়রা বলেন, সরকার রোহিঙ্গাদের অবৈধ চলাচলের নিয়ন্ত্রণ ঠেকাতে কাঁটাতারে বেড়া দিচ্ছে তাতে আমরা স্থানীরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীকেও কাঁটাতারের ঘেরা দিয়ে রোহিঙ্গাদের অভ্যন্তরে রেখে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। পাশাপাশি আমরা স্থানীয়দের অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি নাগরিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। আমাদের অনেক চাষীয় জমি কাঁটাতারের ঘেরার মধ্যে পড়েছে। এতে প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি স্থানীয়রা।

স্থানীয় যুবক কাজল বলেন, ৩০-৪০ টি রোহিঙ্গা পরিবারের কারণে আমরা প্রায় ১০০-১৫০ পরিবার কাঁটাতারের ঘেরার অর্ন্তভুক্ত হচ্ছি। যার কারণে আমরা বাঙালি ও তাদের এক সাথে কাঁটাতারে আবদ্ধ হলে আমাদের ভাই-বোন, ছেলে/মেয়ে বা স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তাই সরকারের কাছে বিনীত আবেদন আমাদের ভবিষ্যৎ বিবেচনা করে ঐ ৩০-৪০ পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নিন। আমাদের কাঁটাতারের বাইরে রাখুন।

এ বিষয়ে হ্নীলা ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় মেম্বার মোঃ আলীর বলেন, ক্যাম্প ২৬/২৭ দুইটি আমার ওয়ার্ডে অবস্থিত। যার কারণে অধিকাংশ স্থানীয়রা কাঁটাতারের বেড়ার আওতায় চলে আসছে। রোহিঙ্গারা সব সময় হত্যা, গুম, মানব ও মাদক পাচার, গুলাগুলিসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে থাকে। সে কারণে আমাদের স্থানিয়রাও যদি তাদের সাথে কাঁটাতারে বেড়ায় আবদ্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন সময়ে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কাঁটাতারের ঘেরা থেকে স্থানীয়দের বাইরে রাখা হউক।

এব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ক্যাম্প সিআইসিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণদের সাথেও একাধিকবার কথা হয়েছে।  হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, ৮ মাস আগে যখন কাঁটাতারের বেড়া নির্মানের জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন আমাকে ডেকে বলছিলেন আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বসে কিভাবে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হবে বসে আলোচনা করা হবে। কিন্তু কোন কিছুই না বলে হঠাৎ রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়দেরও কাঁটাতারের ভিতর রেখে ঘেরা দেওয়া হচ্ছে।

তবে ঘেরা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা হয়েছে। কিভাবে স্থানীয়দের বাইরে রাখা যায় সে বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে স্থানীয়দের অবাধ চলাচলে যাতে বাধা না হয় সে ব্যাপারে আশ্বস্থ করেছেন।

Exit mobile version