টেকনাফে রোহিঙ্গাসহ দুই মানব পাচারকারী নিহত
টেকনাফে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে রোহিঙ্গাসহ দুই মানব পাচারকারী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গোলাগুলিতে আহত হলে পুলিশ তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তারা। এই ঘটনায় পুলিশের ৩ জন সদস্য আহত হয় এবং ঘটনাস্থল হতে অস্ত্র, বুলেট ও খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, ২৩ জুন (রবিবার) রাতের প্রথম প্রহরে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের হাতে আটক মানব পাচার মামলার আসামী টেকনাফ নাইট্যং পাড়ার মৃত রশিদ আহমদের ছেলে মোঃ রুবেল (২৩) এবং কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাবিবুল্লাহর ছেলে ওমর ফারুক (১৯) কে নিয়ে একদল পুলিশ সাবরাং কাটাবনিয়া নৌকা ঘাটে অভিযানে গেলে ওঁৎপেতে থাকা তাদের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে।
এ সময় টেকনাফ থানা পুলিশের এসআই নুরুল ইসলাম (২৯), কনস্টেবল মহি উদ্দিন ও শামীম রেজা আহত হয়। এ সময় পুলিশ পাল্টা গুলি করে। কিছুক্ষণ পর দূবৃর্ত্তরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল হতে ২টি দেশীয় অস্ত্র, ১১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ এবং ১৮ রাউন্ড খালি খোসাসহ গুলিবিদ্ধ দুই জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুলিবিদ্ধদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়। মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ সাংবাদিকদের জানান, মানব পাচারকারীদের দুই সদস্যকে নিয়ে অভিযানে গেলে তারা সেখনে আহত হয়। পরে মারা যায়। দু’পক্ষের গোলাগুলিতে হতাহত, অস্ত্র-বুলেট ও খালি খোসা উদ্ধারের বিষয়টিও নিশ্চিত করেন তিনি। এই ব্যাপারে তদন্ত স্বাপেক্ষে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।