parbattanews

টেকনাফে স্পিডবোট-ফিশিং ট্রলার সংঘর্ষে দুই নারী নিহত, শিশু নিখোঁজ

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে যাত্রীবাহী স্পিডবোট ও ফিশিং ট্রলারের মুখোমুখি সংর্ঘষে দুই নারী যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এক শিশু নিখোঁজ ও ৭ জন আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার বাটু মিয়ার স্ত্রী রশিদা বেগম (৬৫) ও আবদুল জলিলের স্ত্রী মেহেরুন নেছা (৭৫)!

৮ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুর আড়াইটার দিকে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী খালের নাফ নদীস্থ মোহনায় বিজিবি চৌকি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্পীডবোটে থাকা আহত যাত্রীরা জানান, টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী ঘাট থেকে ৮ জন যাত্রী নিয়ে কাইছার নামে এক চালক সেন্টমার্টিন উদ্দেশে রওয়ানা করে। রওয়ানার কিছুদূর পর বিজিবি চৌকি পার হওয়ার পর পরই সামনে থাকা ফিশিং ট্রলারের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় স্পীডবোটসহ যাত্রীরা উল্টে যায়। এতে স্পিডবোটটি ডুবে রশিদা ও মেহেরুন নেছা নামে দুই নারী নিহত ও ৭ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৬ যাত্রী টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আহতরা হলেন, মামুন, মো. আমিন, জাহারো বেগম, সোহেল, মমতাজ বেগম।

এব্যাপারে সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, এ ঘটনায় রশিদা বেগম নামে মেহেরুন নেছা নামের দুই নারী নিহত হয়েছেন এবং সুমাইয়া নামে এক কন্যা শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে। মেহেরুন নেছা তার শাশুড়ী বলেও জানান তিনি।

টেকনাফ মেরিনসিটি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুজ্জামান জানান- মূমূর্ষু এক নারীকে এখানে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগে তার মৃত্যু হয়।

টেকনাফ কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লেঃ আমিরুল জানান, নিখোঁজ শিশুকে উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Exit mobile version