parbattanews

টেকনাফে ৩০ হাজার ইয়াবাসহ আটক এক

কক্সবাজারের টেকনাফ সদরের বরইতলী এলাকায় বিজিবি অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ মানব ও মাদক পাচারকারীদলের এক সদস্যসহ ৯০ লাখ ১০ হাজার ৫শত টাকা মূল্যমানের ৩০ হাজার পিস ইয়াবা, ২টি মোবাইল ফোন এবং বাংলাদেশি নগদ টাকা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় এক পাচারকারীকে আটক করা হয়।

টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার (বিজিবিএম) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ টেকনাফ উপজেলার বড়ইতলী নামক এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে মাদকের চালান বাংলাদেশে আসতে পার। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ব্যাটালিয়ন সদর হতে অপারেশন অফিসারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করে। সেখানে সংঘবদ্ধ মানব ও মাদক পাচারকারীদলের সক্রিয় সদস্য টেকনাফ সদর ইউনিয়নে বড়ইতলী এলাকার মোহাম্মদ শাহর ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম (২৫) এর বসত-বাড়ি থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে বাড়ির পিছনে লাকড়ির স্তুপের ভিতর থেকে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার এবং তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।

আটককৃত ব্যক্তির স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আরো জানা যায় যে, সে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট নাফ নদীর পাড় হতে একই এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে মো. আল আমিন (২৮) এর নিকট ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়। এছাড়াও আটককৃত আসামির কাছ থেকে ইয়াবা বিক্রয়ের নগদ ৫ হাজার টাকাসহ ২টি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট, মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকাসহ সর্বমোট বাজার মূল্য ৯০ লাখ ১০ হাজার ৫শত টাকা।

অধিনায়ক আরো জানান, আটককৃত আসামি এবং পলাতক আসামির বিরুদ্ধে জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট, মোবাইল ফোন এবং বাংলাদেশি টাকাসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য, আটককৃত আসামিকে ইতোপূর্বে গত বছর ২৭ আগস্টে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ অবৈধভাবে মাদক বহন ও মানব পাচারের দায়ে আটক করা হয় এবং নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। ২৮ ডিসেম্বর জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িয়ে পড়ে।

Exit mobile version