টেকনাফে ৩২ হাজার পিস ইয়াবাসহ চালক ও হেলপার গ্রেফতার

fec-image

কক্সবাজারের টেকনাফে ৩২ হাজার পিস ইয়াবাসহ চালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করেছে মডেল থানা পুলিশ।

ধৃত মাদক ব্যাবসায়ীরা হচ্ছে চটগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এালাকার -ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদের কে এম আবদুল হাকিম রোডেের মৃত কালা মিয়ার ছেলে দিলদার মিয়া (৪৫) ও পটিয়ার মৌলভীহাট ইউনিয়নের বড়লিয়ার মোঃ বদিউল আলম প্রঃ বদি ড্রাইভারের পুত্র মোঃ তৌহিদুল আলম (২৩)।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো গিয়াস উদ্দিন উক্ত তথ্য নিশ্চিত করে জানান- বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে টেকনাফ থানার সাবরাং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ডেগিল্যার বিল এলাকার শাহপরীরদ্বীপ টু টেকনাফ গামী রাস্তা দিয়ে লবণ ভর্তি একটি ট্রাকে করে ইয়াবা বহন করার গোপন সংবাদ মেলে।

এ খবরে থানা পুলিশের একটি বিশেষ আভিযানিক টিম ওই সড়কে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে শাহপরীরদ্বীপ থেকে টেকনাফ অভিমূখে লবণ ভর্তি একটি ট্রাক আসতে দেখে তা তল্লাশী করার জন্য সিগন্যাল দেওয়া হয়। সিগন্যাল অমান্য করে চলে যাওয়ার চেষ্টাকালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে উক্ত গাড়িটিকে সাবরাংয়ের ৫নং ওয়ার্ডের ডেগিল্যার বিল এলাকার শাহপরীরদ্বীপ টু টেকনাফ গামী রাস্তার পূর্ব পাশে ইসমাইল টাওয়ার-২ এর দক্ষিণ পার্শ্বে জনৈক ডাক্তার এনামুল হকের ফাঁকা জায়গার উপর ট্রাকটি থামানো হয়। পরে উক্ত ট্রাকে থাকা ড্রাইভার এবং হেলফার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে দিলদার মিয়া ও মোঃ তৌহিদুল আলম (২৩) কে আটক করা হয়।

আটকের পর ট্রাক ড্রাইভার দিলদার মিয়া (৪৫) এবং হেলপার মোঃ তৌহিদুল আলম (২৩)’দ্বয়কে পালিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর না দিয়ে এলোমেলো কথাবার্তা বলতে থাকে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা স্বীকার করে যে, ট্রাকে রাখা লবণের বস্তার নিচে সাদা প্লাস্টিকের বস্তার ভিতরে ইয়াবা লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের দেওযা তথ্য মতে ট্রাকে রাখা লবণের বস্তার নিচে বিশেষ কায়দায় লুকানো সাদা প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর হতে ১৬০ টি নীল রংয়ের জিপার পলিপ্যাক পাওয়া যায়। প্রতিটি পলিপ্যাকের ভিতর ২০০ পিস করে ৩২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানায়- উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট গুলো উক্ত লবনের মালিক ডেগিল্যার বিলের কালু মিয়ার পুত্র হোছন আহমদ (৩৫) এর নির্দেশে চট্টগ্রাম জেলায় বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলো।

তারা আরো জানায় যে, হোছন আহমদ (৩৫) দীর্ঘদিন যাবত লবণ ভর্তি ট্রাকে করে চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের ব্যবহার করে ইয়াবা ট্যাবলেট পাচার করে আসছে। উক্ত বিষয়ে আটককৃত ব্যক্তি ও পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ধৃত আসামীদ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন