টেকনাফে ৩ দালালসহ নারায়নগঞ্জের ২০ ‘মালয়েশিয়াগামী’ আটক, দুই মাইক্রোবাস জব্দ
আবদুল্লাহ নয়ন, কক্সবাজার:
সমুদ্রপথে অবৈধ উপায়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে নারায়নগঞ্জের ২০ জন ‘মালয়েশিয়াগামি’ ও ৩ জন দালালকে আটক করা হয়েছে। একই সাথে দুইটি মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়।
কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের দমদমিয়া চৌকি (বিওপি) থেকে মঙ্গলবার রাতে তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
মালয়েশিয়া পাচারকারি ধৃত ৩ দালাল হলেন কক্সবাজার শহরের ফজল আলীর ছেলে তাজুল ইসলাম (৩৫), উখিয়া উপজেলার পালংখালী গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে জসিম উদ্দিন (২০) ও টেকনাফ উপজেলার কাঞ্জর পাড়া গ্রামের হাবিবুল হকের ছেলে জিয়াবুল ইসলাম (২৭)।
বিজিবির টেকনাফস্থ ৪২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ জাহিদ হাসান সাংবাদিকদের জানান, মাইক্রোবাসে মালয়েশিয়াগামি যাত্রী আসছে এমন খবরে দমদমিয়া সীমান্ত চৌকির (বিওপি) কমান্ডার সুবেদার নুরুল আমিনের নেতৃত্বে টেকনাফ অভিমুখি মাইক্রো ও যাত্রীবাহী গাড়িতে তল্লাশি শুরু করেন। রাত প্রায় ৮টার দিকে দুইটি মাইক্রোবাস তল্লাশি করে ২০ জন মালয়েশিয়াগামিকে আটক করা হয় ও মাইক্রো দুইটি জব্দ করা হয়। তাদের সাথে মালয়েশিয়ায় আদম পাচারকারি ৩ জন দালালকেও আটক করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি জানান, আটক হওয়া সকল মালয়েশিয়াগামিই নারায়নগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনার পরপরই তিনি ও টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুজাহিদ উদ্দিন বিজিবির দমদমিয়া বিওপি পরিদর্শন করেন।
আটককৃত মালয়েশিয়াগামিরা বিজিবি সদস্যদের জানান, সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাড়ি দিতে বাড়ি থেকে শনিবার কক্সবাজার পৌছেন তারা। মঙ্গলবার বিকালে মালয়েশিয়া যাত্রার জন্য টেকনাফ আনার পথে বিজিবি সদস্যদের হাতে আটক হয়েছেন।
তাদের দাবি, অনেকের আত্মীয়স্বজন মালয়েশিয়া থাকার সুবাদে সেখান থেকেই দালালদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের টেকনাফ আসা।
মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য তারা দালালদের কাছে ২০-৪০ হাজার টাকা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন ভাগ্য বিড়ম্বিত এই মানুষেরা।
বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ জাহিদ হাসান জানান, আটক ৩ দালাল ছাড়াও পলাতক আরও ৬ দালালকে আসামি করে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ওই মামলায় আটক ২০ জন মালয়েশিয়াগামি যুবককে ‘ভিকটিম’ দেখানো হবে।