parbattanews

টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনদ্বীপ থেকে ৬৯ কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার

টেকনাফ প্রতিনিধি:

বিজিবি টেকনাফের সাবরাং ও নাফনদীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৮ লক্ষ ২ হাজার ৮৯৭ পিস ইয়াবা জব্দ করেছে। টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে.কর্নেল আছাদুদ-জামান চৌধুরী শুক্রবার (১৬ মার্চ) দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে অভিযানের বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরেন।

এদিকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনীর সদস্যরা সেন্টমার্টিনদ্বীপের ছেঁড়াদিয়ার কাছে বঙ্গোপসাগরে অভিযান চালিয়ে ৩ লক্ষ ইয়াবা জব্দ করেছে। বিজিবি ও কোস্টগার্ডের পৃথক অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে ৬৯ কোটি ৮ লক্ষ ৬৯ হাজার ১০০ টাকা মুল্যের মোট ২১ লক্ষ ২ হাজার ৯৪৭ পিস ইয়াবা। যা এ যাবৎ কালের সর্ববৃহৎ চালান। তাছাড়া অপর এক অভিযানে ইয়াবাসহ মিয়ানমার নাগরিক ১জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আছাদুদ-জামান চৌধুরী জানান, গত ১৫ মার্চ রাতে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় চালান আসার গোপন সংবাদে তার নিজের নেতৃত্বে দুইটি পৃথক দল নিয়ে নাফনদীতে একটি নৌকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা জব্দ করা হয়। তা ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে গণনা করে ৫ লক্ষ ৮৯৭ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। হাবিলদার আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে থাকা অপর একটি টিম ১৬ মার্চ রাত আড়াইটার দিকে সাবরাং জিনা খাল মুখে নাফ নদী থেকে ১৩ লাখ ২ হাজার ৮৯৭ পিস ইয়াবার চালান জব্দ করেন।

এছাড়া বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় দমদমিয়া বিজিবি সংলগ্ন চেকপোস্ট এলাকা হতে ৫০ পিস ইয়াবাসহ মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডু থানার নিয়ারবিলের বুজুরুজ মিয়ার পুত্র শেখ আহমদকে (২৫) আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনীর সহকারী গোয়েন্দা পরিচালক লে. কমান্ডার আবদুল্লাহ আল মারুফ জানান, ১৬ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফ স্টেশনের বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনীর সদস্যরা সেন্টমার্টিনদ্বীপের ছেঁড়াদিয়ার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অভিযান চালিয়ে ৩ লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এসময় ইয়াবা পাচারকারীরা মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দকৃত ইয়াবার মূল্য ১৫ কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের উদ্ধারকৃত ইয়াবার চালান গুলো টেকনাফে এপর্যন্ত একদিনে উদ্ধার করা সর্ববৃহৎ চালান। এছাড়া বিজিবি কর্তৃক উদ্ধার ইয়াবার চালান দুটি এপর্যন্ত তাদের একক অভিযানে উদ্ধারকৃত ইয়াবার মধ্যে সর্ববৃহৎ চালান বলে জানা গেছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে। যা পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।

Exit mobile version