কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মিয়ানমার থেকে পাচারকালে চার লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। তবে এ সময় কোনো পাচারকারীকে আটক করা সম্ভব হয়নি।বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে সীমান্তবর্তী আদমের জোড়া এলাকার নাফ নদীর তীর সংলগ্ন দুর্গম এলাকায় বিজিবি’র সাঁড়াশি অভিযানে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আশিকুর রহমান ইয়াবা উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্রে বিজিবি জানতে পারে যে নাফ নদীর তীরবর্তী আদমের জোড়া এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে একটি বড় মাদকের চালান আসতে পারে। এ তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নাফ নদীতে অজ্ঞাত পাচারকারীদের আনাগোনা লক্ষ্য করে ব্যাটালিয়ন সদর ও নোয়াপাড়া বিশেষ ক্যাম্প থেকে দুটি বিশেষ অভিযান দল কৌশলগত অবস্থান নেয়।রাত দেড়টার দিকে ৪-৫ জন ব্যক্তি নৌকাযোগে নাফ নদীর অপর প্রান্ত থেকে সীমান্তের শূন্যরেখা অতিক্রম করে তীরবর্তী কেওড়া জঙ্গলের ভেতর দিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা করে। বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা দ্রুত জলাভূমি ও জঙ্গল দিয়ে পালিয়ে যায়, ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।পরে বিজিবি সদস্যরা পুরো এলাকা ঘিরে তল্লাশি চালিয়ে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া চারটি বিশেষভাবে মোড়কজাত ব্যাগ এবং বস্তার ভেতর লুকানো ৪ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।বিজিবি অধিনায়ক আরও জানান, উদ্ধারকৃত ইয়াবাগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত দিয়ে মাদক ও মানব পাচারের হার বেড়েছে। বিজিবি দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, মাদক ও মানব পাচারসহ চোরাচালান প্রতিরোধে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। মাদকের বিরুদ্ধে বিজিবির জিরো টলারেন্স নীতির অংশ হিসেবে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন নিয়মিত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে, যা অব্যাহত থাকবে।