parbattanews

টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল শুরু, সকালে ৩ নৌযানের যাত্রা

ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের নৌপথে দুই দিন ধরে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল উপজেলা প্রশাসন। আবহাওয়া অধিদপ্তর ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কসংকেত প্রত্যাহার ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জাহাজ চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে টেকনাফের দমদমিয়ার জেটিঘাট থেকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনটি জাহাজে চড়ে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে গেছেন ১ হাজার ৩১০ পর্যটক।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে নৌযান চলাচলে কোনো বাধা নেই। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে তিনটি জাহাজ ছেড়ে গেছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফের ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনে ১৭৫ জন, কেয়ারি সিন্দাবাদে ৩৬৭ ও এমভি বার আউলিয়া জাহাজে করে ৭৬৮ পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে গেছেন। জাহাজগুলো বেলা একটার মধ্যে সেন্ট মার্টিন জেটিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে মাইকিং করে গত সোমবার দুপুরে মাইকিং করে সব পর্যটককে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ছাড়তে বলা হয়। বিকেলে তিনটি জাহাজে করে এক হাজার ৪০০ যাত্রী সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাটে আসে। তারপর থেকে এই পথে জাহাজসহ অন্যান্য নৌযান বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ইউপির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, “সতর্ক সংকেত থাকায় দুই দিন সেন্টমার্টিন পথে জাহাজ, সার্ভিস ট্রলারসহ সব নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। গত সোমবার মাইকিং করার পরও আড়াই শতাধিক পর্যটক স্বেচ্ছায় দ্বীপে রয়েছেন। এর মধ্যে দুই দিন নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আজ তারা টেকনাফে ফিরতে পারবেন।

Exit mobile version