টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু

fec-image

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। নানা কারণে ২২৯ দিন বন্ধ থাকার পর আসন্ন পর্যটন মৌসুমকে সামনে রেখে অবশেষে ৩১০ জন পর্যটক নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল শুরু করে।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন ৩১০ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে সেন্টমার্টিনে পৌঁছে।পর্যটক বোঝাই জাহাজটি দ্বীপে পোঁছলে সেখানকার চেয়ারম্যান নুর আহমদসহ স্থানীয়রা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

পর্যটক পরিবহনের পাশাপাশি চলাচলের অনুমতি দেয়ায় শুধুমাত্র এ-ই জাহাজটি প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চলা শুরু করেছে।এর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. পারভেজ চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি দল সবকিছু পরিদর্শন করেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষের দিকে জাহাজ চলাচল শুরু হলেও এবার পর্যটক উঠানামার জেটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াই মেরামত কাজ শেষ করতে গিয়ে কিছুটা বিলম্বে হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বৃহস্পতিবার থেকে নৌপথে নিয়মিত পর্যটক পরিবহন শুরু হবে।

প্রশাসন ও স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়েরর আশঙ্কায় দুর্ঘটনা এড়াতে চলতি বছরের ৩১ মার্চ থেকে টেকনাফ-সেন্টমাটিন ও সেন্টমার্টিন-কক্সবাজার দুটি নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেন স্থানীয় প্রশাসন। তখন ১০টি জাহাজ চলাচল করেছিল এ নৌরুটে। এরমধ্যে ২৬ শে মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আঘাতে পর্যটক ওঠানামার জেটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।জেটির মেরামতে লোহার পাটাতন বসানোর ফলে এতোদিন ধরে পর্যটক পরিবহনের জাহাজগুলোকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।

এদিকে দ্বীপের বাসিন্দা খোরশেদ আলম জানান, সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা পর্যটন মৌসুম ব্যবসায়ী। এই মৌসুমে রোজগার করে সারা বছর সংসারের হাল ধরতে হয়। দেরীতে জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ায় দ্বীপের অনেক বাসিন্দাকে সংসার চালাতে বেকায়দায় পড়তে হয়েছে। তবুও পর্যটক আসা শুরু হওয়ায় বেজায় খুশি দ্বীপবাসী।

কেয়ারী জাহাজের ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম জানান, জাহাজের সব টিকিট বুকিং হয়েছে। ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী নিয়ে সেন্ট মার্টিন যাওয়া হচ্ছে। বেশ কয়েকদিন আগে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে বুকিং শুরু করেছে ভ্রমণপিপাসুরা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী পরশু থেকে পর্যায়ক্রমে বাাকি জাহাজ চলাচল করবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন