টেক্টর-ডকরেলের ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের টার্গেট ৩২০
পরিচিত কন্ডিশনে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী করল আয়ারল্যান্ড। ৩১তম ওয়ানডেতেই চতুর্থ সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন হ্যারি টেক্টর। আরেক ব্যাটার জর্জ ডকরেল বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশি বোলারদের কচুকাটা করলেন।
দুজনের ৬ষ্ঠ উইকেট জুটি বাংলাদেশি বোলারদের নাকের জলে চোখের জলে করে ছেড়েছে। নির্ধারিত ৪৫ ওভারে আইরিশদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৬ উইকেটে ৩১৯ রান। সিরিজে এগিয়ে যেতে হলে বাংলাদেশি ব্যাটারদের আজ কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে।
চেমসফোর্ডের এসেক্স কাউন্টি গ্রাউন্ডে কর্তিত ৪৫ ওভারের ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নামা বাংলাদেশকে শুরুতেই সাফল্য এনে দেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই দলীয় ১ রানে পল স্টার্লিংয়ের (০) দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম। ফিল্ড আম্পায়ার সাড়া না দিলেও রিভিউ নিয়ে জয়ী হয় বাংলাদেশ। ৭ম ওভারে ফের হাসান মাহমুদের সাফল্য। তার বলে মিরাজের তালুবন্দি হয়ে ফিরেন অপর ওপেনার স্টিফেন দোহেনি (১২)। এরপর অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি এবং হ্যারি টেক্টর প্রতিরোধ গড়েন।
২১তম ওভারেই তিন অংক স্পর্শ করে আয়ারল্যান্ডের স্কোর। ৫৩ বলে ফিফটি তুলে নেন টেক্টর। ৫৭ বলে ৪২ রান করা অ্যান্ড্রু বালবার্নিকে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি করে ১০৪ বলে ৯৮ রানের জুটি ভাঙেন শরীফুল। এই পেসারের দ্বিতীয় শিকার লরকান টাকার (১৬)। কার্টিস ক্যাম্ফারকে (৮) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তাইজুল।
এরপরই হ্যারি টেক্টর ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন ৯৩ বলে। ৩৬ ওভারে আইরিশদের স্কোর দুইশ ছাড়ায়। টেক্টরের সঙ্গী হয়ে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন জর্জ ডকরেল। মাত্র ৩১ বলে তুলে নেন ফিফটি।
মিরাজের বলে বিস্ফোরক ডকরেলের ক্যাচ ছাড়েন সাকিব। সেঞ্চুরিয়ান হ্যারি টেক্টর থামেন ইবাদতের বলে বোল্ড হয়ে। তার আগে ১১৩ বলে ৭ চার ১০ ছক্কায় খেলেন ১৪০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। তার বিদায়ে ভাঙে ডকরেলের সঙ্গে ৬৮ বলে ১১৫ রানের বিষ্ফোরক ৬ষ্ঠ উইকেট জুটি।
শেষ পর্যন্ত ৪৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৩১৯ রান তোলে আয়ারল্যান্ড। ৪৭ বলে ৩টি চার এব ৪টি ছক্কায় ৭৪* রানে অপরাজিত থাকেন ডকরেল। আট নম্বরে নামা মার্ক অ্যাডায়ারও ৮ বলে ২ ছক্কায় ২০ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ এবং শরীফুল ইসলাম।