বঙ্গোপসাগরে মাছধরার সময় বাংলাদেশী দুটি ট্রলার ও ১৪ জন জেলেকে আটক করেছে আরাকান আর্মি। ট্রলার দুটি টেকনাফ পৌরসভার কায়ুখখালী ঘাটের মো. কালাম ও সৈয়দ আহমদের মালিকানাধীন বলে জেলেরা জানায়।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে ট্রলার দুটি আটক করা হয়। আটকের পর জেলেদেরসহ ট্রলার দুটি রাখাইনের বুচিডং এলাকায় নিয়ে যায় আরাকান আর্মি।
বাংলাদেশী ট্রলার ও ১৪ জন জেলেকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতি প্রকাশ করেছে আরাকান আর্মি। মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী টি তাদের পরিচালিত গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক নামক একটি ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেইজে এ তথ্য প্রচার করেন। তবে তাদের দাবি,বাংলাদেশী জেলেরা আরাকানের জলসীমায় ঢুকে মাছ শিকার করছিলেন, তাই তাদের আটক করা হয়েছে।
টেকনাফ কায়ুকখালী ঘাট বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ বলেন, ‘দুটি ট্রলার আরাকান আর্মি আটক করেছে বলে শুনেছি। কিন্তু এখনো বিস্তারিত জানতে পারছিনা আসলে কোন দুটি ট্রলার আটক করেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।‘
কায়ুখখালী ঘাটের আরেক ট্রলার মালিক মো. রফিক বলেন, ‘আরাকান আর্মি এর আগেও বাংলাদেশী ট্রলারসহ জেলেদের আটক করেছে। এখনো অনেক জেলে তাদের হেফাজতে রয়েছে। নতুন করে আবারও আমাদের ট্রলারগুলোতে হানা দিচ্ছে আরাকান আর্মি। এতে নাফনদ ও বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা আমাদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।‘
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দীন জানান, ‘আমিও বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।‘