ট্রলার ডুবিতে তিনদিন সাগরে ভেসে বাড়ি ফিরলেন মুবিন


সাগরে কুতুবদিয়ার লবনবাহী ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ৫ জন বাড়ি ফিরেছে। নিখোঁজ ৩ জনের মধ্যে জিল্লুল করিম নামের একজনের মরদেহ উদ্ধারের পর দাফন করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ২ জন।
গত ২৮ মে বুধবার হাতিয়ার দক্ষিণে ৬ হাজার মণ লবন নিয়ে ৮ মাঝি-মাল্লাসহ কুতুবদিয়ার আজমগীরের বোট ডুবে যায়। ৩ দিন সাগরে ভাসার পর ৩০ মে ৫ জনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদের মধ্যে উত্তর ধুরুং মনছুর আলী হাজিরপাড়ার ইউনুছের ছেলে মুবিনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানে ৩ দিন চিকিৎসা শেষে বেচেঁ ওঠেন মুবিন। গতকাল মঙ্গলবার বাড়ি ফিরে চোখে কম দেখা, বুক ব্যথা নিয়ে বুধবার ধুরুংবাজারে একজন প্রাইভেট চিকিৎসকের চেম্বারে চিকিৎসা নেন।
মুবিন বলেন, ট্রলার ডুবির পর ৩ দিন একটি গাছ আঁকরে ধরে সাগরে ভেসে ছিলেন। হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটা থেকে স্থানীয় ছোট ফিশিং বোটের জেলেরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। চোখে দেখছেন না, বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছেন বলেও জানান তিনি।
ট্রলারের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার ৮ দিন পরও নিখোঁজ ২ জনের সন্ধান পাননি। সাগরে একটি ফিশিংবোট এখনো নিখোঁজ মাল্লাদের তল্লাশী অভিযানে রয়েছে।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহি অফিসার ক্যাথোয়াইপ্রু মারমা বলেন, ট্রলার ডুবির ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ৫ জনের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। নিখোঁজ ২ জনের উদ্ধার তৎপরতার জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে ট্রলার মালিককে।