ইরানের উপকরণবিহীন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা


ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রসমূহ বড় ধরনের হামলার শিকার হতে পারে, তাই আগে থেকেই সরিয়ে ফেলা হয় গুরুত্বপূর্ণ সব পারমাণবিক উপকরণ। আর এই উপকরণবিহীন পারমাণবিক কেন্দ্রসমূহে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালিয়ে ট্রাম্প আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুললেও ইরান কর্তৃপক্ষ বলছে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় তাদের বড় ধরণের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ইরানের পরমাণু কেন্দ্রসমূহের অন্যতম হলো ফোরদো পরমাণু কেন্দ্র। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, তারা ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান-্এই তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছ। তবে আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, অত্যন্ত সুরক্ষিত ফোরদো পরমাণু কেন্দ্র সত্যিই ধ্বংস হয়েছে কি না সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। কারণ ট্রাম্প কেন্দ্রটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছেন আরেকটি সূত্রের বরাত দিয়ে। তার বিরুদ্ধে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অনেক প্রমাণ রয়েছে।
এদিকে এ বিষয়ে ইরান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই তিনটি পরমাণু কেন্দ্রের পারমাণবিক উপকরণ আগেই সরিয়ে নেয়া হয়। দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভির উপ-রাজনৈতিক পরিচালক হাসান আবেদিনি টিভিতে সরাসরি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা তিনটি পরমাণু কেন্দ্র আগেই খালি করে ফেলেছিলাম। যদি ট্রাম্পের কথা সত্যি হয়ও আমরা বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়িনি। কারণ পারমাণবিক উপকরণ আগেই সরিয়ে ফেলা হয়েছিল।
ইরানের ফোরদো, ইসফাহানসহ তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলায় সন্তোষ প্রকাশ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার ট্রুথ স্যোশাল প্লাটফর্মের অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে পোস্টে লিখেছেন, ‘আমরা ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহানসহ ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় আমাদের অত্যন্ত সফল হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে রয়েছে।’
ট্রাম্প বলেন, ‘প্রাথমিক লক্ষ্যস্থলে বোমার পূর্ণ পেলোড ফেলা হয়েছে, ফোরদোর জন্য সব বিমান প্রস্তুত। এটি আমাদের মহান আমেরিকানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।’ ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘এটি (ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও পুরো বিশ্বের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’
ট্রাম্প আরো উল্লেখ করেন, হামলার পর সব মার্কিন বিমান ইরানের আকাশসীমা ত্যাগ করেছে। দখলদার ইসরাইলের এক কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে জানিয়েছেন, অত্যাধুনিক বি-২ স্টিলথ বোমারু ব্যবহার করে ইরানের ফোরদো পরমানু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মাটির ২৬২ ফুট গভীরে থাকা পরমাণু কেন্দ্রটিতে হামলা চালাতে ৩০ হাজার পাউন্ডের বাঙ্কার বাস্টার বোমার প্রয়োজন ছিল। যেটি শুধুমাত্র বি-২ বোমারুরই ছোড়ার ক্ষমতা আছে।