parbattanews

ডাক্তারের বিরুদ্ধে রোগীকে হয়রানি করার অভিযোগ

পছন্দের ল্যাবে এক্স-রে না করায় রোগীকে বাড়ি পাঠালেন ডাক্তার। পছন্দের ল্যাবে এক্স-রে না করায় রোগীর চিকিৎসা দেননি চিকিৎসক। এ সময় নিজের পছন্দের ডায়াগনস্টিক ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করানোর কারণে অসুস্থ রোগীর ওপর ক্ষিপ্ত হন এই চিকিৎসক।

ফলে বিনা চিকিৎসায় বাড়িতে ফিরতে হয়েছে রোগীকে। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে সুবিচার চেয়ে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী রোগী সুজন চাকমা। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চিকিৎসক মো. রাশেদুল ইসলাম।

লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী রোগী সুজন চাকমা উল্লেখ করেছেন, কয়েকদিন ধরে আমি বেশ অসুস্থ ছিলাম। অসুস্থ শরীর নিয়ে হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক রাশেদুল ইসলাম কয়েকটি রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা দেন। এ সময় তিনি আমাকে ‘পার্বত্য ডায়াগনস্টিক’ নামে একটি ল্যাবে পরীক্ষাগুলো করানোর জন্য বলেন। আমি দীঘিনালা সদরের লারমা স্কয়ারের আরেকটি ডায়াগনস্টিক ল্যাবে এক্স-রে করিয়ে হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক রাশেদুল ইসলাম আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন। পাশাপাশি অন্য ল্যাবে রোগ নির্ণয় করার জন্য দুর্ব্যবহার করেন তিনি। একপর্যায়ে আমাকে চিকিৎসা না দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।

তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার রাশেদুল ইসলাম বলেন, একটি চক্র আমাকে হাসপাতাল থেকে তাড়ানোর ষড়যন্ত্র করছে। সে ষড়যন্ত্র থেকে আমার বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. একরামুল আজম বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়নি। যদি কোনো চিকিৎসক রোগীকে সুনির্দিষ্ট কোনো বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্স-রে বা রোগ নির্ণয়ের জন্য বাধ্য করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যাচাই করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন মো. ইদ্রিস মিয়া একটা মিটিংয়ে জেলার বাইরে আছি জানিয়ে বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। খাগড়াছড়িতে ফেরার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

Exit mobile version