parbattanews

ডাক বিভাগ থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের বিল ভাউচার লাপাত্তা

কাউখালী প্রতিনিধি:

সরকারি কল্যাণ ট্রাস্ট্রের টাকা হাতে পেলে নিজের শারীরিক অসুস্থ্যতার চিকিৎসা করাবেন রাঙ্গামাটির কাউখালী পরিসংখ্যান অফিসের কর্মচারী বেল্লাল। সে অনুযায়ী ডাক্তারী সনদপত্রসহ বিল ভাউচারের সবগুলো আসল কপি গুছিয়ে ডাক বিভাগ কাউখালী থেকে মহাপরিচালক বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড সেগুন বাগিচা ঢাকা বরাবরে এডি রেজিস্ট্রর্ড করে পাঠান। কিন্তু সাত মাসেও কাঙ্খিত স্থানে পৌঁছায়নি বা ফেরৎও আসেনি বেল্লালের এডি রেজিস্ট্রার্ড প্যাকেট।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, কাউখালী পরিসংখ্যান অফিসের কর্মচারী মো. বেল্লাল হোসেন ২৫ এপ্রিল ২০১৮ইং তারিখে এডি (রেজিঃ) নং ৪৩৫ মূলে ডাক্তারী চিকিৎসা সনদ ও কল্যাণ তহবিলের দেড় লক্ষ টাকার বিল ভাউচারের আসল কপি সম্বলিত একটি প্যাকেট কাউখালীর কলমপতি (৪৫১০) ডাক বিভাগ থেকে মহাপরিচালক বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড সেগুন বাগিচা ঢাকা বরাবরে এডি রেজিস্ট্রার্ড করে প্রেরণ করেন।

কিন্তু এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও প্রেরিত চিঠি বিতরণ বা ফেরৎ না আসায় বেল্লাল ৩০ মে ২০১৮ তারিখে ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল রাঙ্গামাটি বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বেল্লালের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল রাঙ্গামাটি কার্যালয় হতে স্মারক নং- সিআর-৩-২১/১৭-১৮, তারিখ- ১৩/০৮/২০১৮ইং মূলে একটি চিঠি সিনিয়র পোস্টমাস্টার জেনারেল ঢাকা বরাবরে প্রেরণ করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয় ২৫ এপ্রিল কাউখালী ডাক বিভাগ থেকে বেল্লালের পাঠানো প্যাকেট রাঙ্গামাটি অফিস গ্রহণ পূর্বক একই তারিখে ঢাকা জিপিও নামীয় রেজিঃ  ৪৪/১২৭ ক্রমিকে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে প্রেরণ করার কথা জানানো হয়।

০৪/০৯/২০১৮ইং তারিখে স্মারক নং- অভি-২/রেফ-১৭৪/১৭-১৮ মূলে সিনিয়র পোস্টমাস্টার এর কার্যালয়, জিপিও ঢাকা থেকে ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল রাঙ্গামাটিকে উত্তরে বলা হয় এডি/রেজিঃ ৪৩৫নং এর পত্রটি পোষ্টিং বিহীন অবস্থায় ৩০/০৪/২০১৮ইং তারিখে পাওয়া যায়। প্রাপ্ত রেজিঃ পত্রটি ০৮/০৫/২০১৮ইং তারিখে পোষ্টিংবিহীন অবস্থায় সাব পোস্টমাস্টার শান্তিনগর নামীয় রেজিঃ ব্যাগে ৪/৭২নং ক্রিমিকে প্রেরণ করা হয়েছে।

অভিযোগীয় রেজিঃ পত্রটির সহিত প্রেরণ বিন্যাসের চিঠির কোন মিল না থাকায় ধরে নেওয়া গেল প্রেরণকৃত রেজিঃ পত্রটি অভিযোগীয় পত্র নয়। এমতাবস্থায় রেজিঃ পত্রটির সঠিক বিলি বিন্যাস জানার জন্য ঢাকা জিপিও নামীয় প্রেরণ বিন্যাসের সত্যায়িত ফটোকপি সরবরাহের জন্য পূণরায় অনুরোধ করা হয়। ফলে বেল্লালের প্রেরিত প্যাকেট লাপাত্তা হওয়ার বিষয়ে কোন সুরাহা খোদ সিনিয়র পোস্টমাস্টার এর কার্যালয় থেকেও দিতে পারেনি।

বেল্লাল জানান, আমি দীর্ঘদিন হার্ডের সমস্যায় ভোগছি। ডাক্তার হার্ডে রিং পড়ানোর পরামর্শ দেয়ায় কল্যাণ তহবিলের সব কাগজপত্র ও ডাক্তারী সনদের মূল কপিসহ সব কাগজপত্রই জমা দিয়ে দিয়েছি। এসব বিল ভাউচার ফেরৎ না পেলে আমার চিকিৎসা করা সম্ভব হবেনা। ডাক বিভাগের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে এ বিভাগ থেকে সাধারণ মানুষের আস্থা উঠে যাবে। বেল্লাল সংশ্লিষ্টদের কাছে তার পাঠানো কাগজপত্র ফেরৎ পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

Exit mobile version