ডেল্টা না ওমিক্রনে আক্রান্ত বুঝে নিন কাশির ধরনে

fec-image

করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। করোনা নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের আতঙ্কে আরও দুর্বিসহ জনজীবন। ডেল্টার পর ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট থাবা বসিয়েছে সব জায়গাতেই। অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন ওমিক্রনে। আবার অনেকের শরীরে ডেল্টা ও ওমিক্রন দুটো স্ট্রেনই মিলেছে।

ওমিক্রনের পাশাপাশি অনেকেই আবার ডেল্টাতেও আক্রান্ত হচ্ছেন। বর্তমানে করোনায় যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগের শরীরেরই এ দুটো ভ্যারিয়েন্টের হদিস মিলছে। সেক্ষেত্রে করোনা আক্রান্তরা কীভাবে বুঝবেন তারা ওমিক্রন না ডেল্টায় আক্রান্ত?

এ বিষয়ে ভারতের এআইজি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কেতন মাশরানী জানাচ্ছেন, কাশির ধরন দেখে বোঝা সম্ভব করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ডেল্টা থাবা বসিয়েছে নাকি ওমিক্রন।

ডা. কেতন মাশরানী বলেন, ‘করোনা রোগীরদের শরীরে প্রকাশ পাওয়া উপসর্গ ও ব্যক্তিগত চিকিৎসার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে, যাদের শুকনো কাশি আছে দেখা যাচ্ছে তারা ডেল্টায় আক্রান্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে ওমিক্রন আক্রান্তদের বেশিরভাগের শরীরেই কফযুক্ত কাশি দেখা যাচ্ছে।’

এ ছাড়াও ওমিক্রন সংক্রমণের অন্যান্য উপসর্গের মধ্য়ে উল্লেখযোগ্য হলো, ৫ দিনের মধ্যেই জ্বর সেরে যাচ্ছে। অন্যদিকে তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রির মধ্যেই থাকছে। পাশাপাশি মাথা ব্যথ্যা ও গলা ব্যাথার মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।

ডা. কেতন মাশরানী আরও বলেন, ‘ডেল্টা আক্রান্তদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে তারা স্বাদ ও গন্ধ হারিয়ে ফেলছেন। তবে ওমিক্রন আক্রান্তদের ক্ষেত্রে স্বাদ-গন্ধ হারানোর মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না।’

তবে কোনো ব্যক্তি ওমিক্রনে আক্রান্ত কি না তা জানতে ওমিক্রন না ডেল্টায় আক্রান্ত তা জানার জন্য আরটি পিসিআর টেস্ট ও জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষা বাধ্যতামূলক।

চিকিৎসক আরও বলেন, যাদের আগে থেকেই সর্দি-কাশির সমস্যা আছে ও আগে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন, তাদের শরীরে এমন টি-সেল মজুত থাকে যা নভেল করোনাভাইরাস শরীরে ঢুকতে চাইলেই বাঁধা দেয়। এ সুরক্ষার কারণেই তারা কোভিড থেকে বেঁচে যেতে পারেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শনিবারের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৪ জন এবং নারী ৩ জন।

মৃতদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৪ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৩ জন মারা যান। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৩৬ জনে।

সূত্র: নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন