রুমা প্রতিনিধি:
বান্দরবানের রুমা সদর ইউনিয়নের নয়নাভিরাম পর্যটন স্পট রিঝুক ঝরণায় সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া শিক্ষক তৌফিক আহমেদ সিদ্দিকী’র (৫১) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।রোববার সকাল ৫৬মিনিটে ফায়ারম্যান মোরশেদ আলম(৩৫) ও হামিদুল রহমান(২২) পানিতে ডুব দিয়ে সন্ধান চালিয়ে লাশটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। লাশ উদ্ধারের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন চট্টগ্রামের ডুবুরী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম(৪৮)।
এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং মারমা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন চৌধুরী উপস্থিত থেকে উদ্ধার অভিযান প্রত্যক্ষ করেন। এছাড়াও বান্দরবানের ফায়ার সার্ভিসের এসও রনধীর দত্ত ও লিডার রফিক আহম্মদসহ স্থানীয় যুবকরা ডুবুরিদের বিভিন্ন সহযোগিতা করতে লক্ষ্য করা গেছে। লাশটি উদ্ধারের পর রুমা থানা ঘাটে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বনিক ও পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় উদ্ধারের খবরা-খবর নিতে দুপুরে রুমা থানায় পৌঁছেন। প্রাথমিক ডাক্তারি পরীক্ষার পর থানায় স্বাভাবিক কাজ সারিয়ে লাশটি তার এক আত্মীয়ের জিম্মায় হস্তান্তর করে পুলিশ।
রুমা থানা এসআই মিজান জানান, শনিবার দুপুরে ১৩ জন থেকে ১৭ জনের একটি পর্যটক টিম রুমার পর্যটন স্পট রিজুক ঝরণায় সৌন্দর্য্য অবলোকনে যান। সেখানে পানিতে সাঁতার কাটতে নামেন শিক্ষক তৌফিক। এ সময় গভীর পানিতে তলিয়ে যান এবং এতে তিনি নিখোঁজ হন। তিনি আরো জানান আজ (১৮সেপ্টেম্বর) দুপুরে আত্মীয় স্বজনরা উদ্ধারকৃত লাশ ঢাকায় নিয়ে গেছে। আত্মীয় স্বজনরা না চাওয়ায় কোনো ময়না তদন্ত করা হবেনা।
অন্যদিকে নিখোঁজ ব্যক্তির সফর সঙ্গী ফারুক আহমেদ জানান, ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকা থেকে বান্দরবান এসে রুমায় বেড়াতে আসেন। ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে রিজুক ঝরনায় পৌঁছেন। পৌঁছা মাত্র নৌকা থেকে কেউ নামার আগেই তৌফিক সিদ্দিক নদীতে নেমে পড়েন। মূহুর্তে সাংগু নদীতে ডুবিয়ে তলিয়ে যাওয়ায় তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারপর মুহুর্তের মধ্যে আনন্দ পরিণত হয় নিরানন্দের রূপ। তাদের সাথে কলেজ শিক্ষক তৌফিকের স্ত্রীসহ মেয়েও ছিল বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য যে, তৌফিক সিদ্দিক বগুড়া আজিজুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান ও ১৩তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার।