ঢাবির নবীন শিক্ষার্থীদের শিবির সভাপতির শুভেচ্ছা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টে তিনি নবীনদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বার্তা জানান।
শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ঢাবি শিবির সভাপতি বলেন, প্রাণের ক্যাম্পাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩ তম ব্যাচের প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, জ্ঞানের এই বৃহত্তর আঙিনায় তোমাদের জানাই আহলান-সাহলান। আল্লাহর অশেষ রহমতে কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও যোগ্যতার প্রতিফলন ঘটাতে সক্ষম হয়েছো তোমরা। তোমাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন।
ক্যাম্পাস জীবন মসৃণ হোক কামনা করে তিনি বলেন, তোমাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আমাদের এই প্রাণের ক্যাম্পাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের (পূর্ব বাংলার) মেজরিটি মেহনতি ও মজলুম মানুষের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান। সেই স্বপ্নের অংশ এখন তোমরাও। আমাদের জাতীয় জীবনের প্রতিটি বাঁক বদলের সাক্ষী এ ক্যাম্পাসের কার্জন, বটতলা, শ্যাডো, ডাকসু, টিএসসি থেকে সেন্ট্রাল লাইব্রেরি কিংবা পলাশী থেকে সেন্ট্রাল মসজিদের অভিজ্ঞতায় সিক্ত হতে চলা তোমাদের জীবনের এই অধ্যায়টি মসৃণ ও সৃজনশীল হবে বলে দোয়া করছি।
পড়াশোনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, স্নেহাশিস নবীন শিক্ষার্থীরা, তোমাদের উপর ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা দায়বদ্ধতা রয়েছে। প্রতিটি সুন্দর ও স্বপ্নিল আকাঙ্ক্ষা পূরণে তোমরা অগ্রগামী হবে, এই প্রত্যাশা রাখছি। খেয়াল রাখবে, কিছুতেই যেন ভেস্তে না যায় নিজেকে প্রমাণ করার এই শ্রেষ্ঠ সুযোগ।
বৈচিত্র্যপূর্ণ মতের অভিজ্ঞতা নবীনদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজধানীর সুপ্রসিদ্ধ কোনো প্রতিষ্ঠানের একজন উচ্চবিত্ত শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সীমান্তের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন কৃষক কিংবা দিনমজুরের সন্তান, সকলকেই এই বিশ্ববিদ্যালয় ধারণ করে। এমন বৈচিত্র্য আমাদের নতুনের সাথে পরিচয় করায়, জানার পথকে করে উন্মুক্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় দেখা হবে বিভিন্ন চিন্তার মানুষের সাথে, বৈচিত্র্যময় সব মতের অভিজ্ঞতা তোমাকে করবে আরো সমৃদ্ধ। ব্যক্তিগত চিন্তার বাইরে অন্যের মতামত বা দর্শনকে শুনতে পারার যোগ্যতা, তোমার চিন্তার দিগন্তে এনে দিতে পারে নতুন আলো।
নবীন শিক্ষার্থীদের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত জ্ঞানচর্চার জায়গা- এই দর্শনটা ধারণ করবে। সুপিরিওরিটি বা ইনফেরিওরটি কমপ্লেক্স যেন গ্রাস করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ইতিবাচক সবার সাথে নিজেকে শামিল করতে হবে দ্বিধাহীনভাবে।