তাইওয়ানের আশপাশে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে চীন
তাইওয়ানের আশপাশে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে চীন। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। চীনের রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম সিসিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের সবচেয়ে বড় মহড়ার মধ্যে তাইওয়ানের আশেপাশের জলসীমা এবং আকাশসীমায় সরাসরি ফাঁকা গুলিও ছোড়া হবে।
এর আগে ১৯৯৬ সালে শেষবার তাইওয়ানের আশপাশে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল বেইজিং। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উত্তরপূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব সাগরে বেশ কয়েকটি ডংফেং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
তাইওয়ানের মাতসু দ্বীপের কাছেও দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে চীন। তাইওয়ানের কর্মকর্তারা বলছেন, চীনের এ ধরনের মহড়া জাতিসংঘের নিয়ম লঙ্ঘন করে। একে নিজেদের আঞ্চলিক সীমায় আক্রমণ এবং আকাশসীমা ও জলসীমায় নৌ চলাচলের ক্ষেত্রে সরাসরি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছে তাইওয়ান।
তাইওয়ানের চীন যে সামরিক মহড়া শুরু করেছে তা নজিরবিহীন। নৌ ও আকাশ পথে দেশটি মহড়া চালানো হচ্ছে। মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর শেষেই চীন এমন পদক্ষেপ নেয়। মূলত চীনের চরম আপত্তি থাকা স্বত্ত্বেও মার্কিন এই শীর্ষ রাজনীতিবিদ মঙ্গলবার (২ আগস্ট) তাইওয়ান সফরে যাওয়ায় ক্ষেপে গেছে বেইজিং।
সিসিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তাইওয়ানের চারপাশে ছয়টি জায়গায় সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে। মূলত পেলোসির তাইওয়ান সফরের শুরু থেকেই সামরিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করে চীন। এরপর তাইওয়ানকে শাস্তি দিতে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে দেশটি। এদিকে তাইওয়ান জানিয়েছে, চীনের চলমান সামরিক মহড়া আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, তাইওয়ানের উত্তর, দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তরপূর্বাঞ্চলে যৌথভাবে আকাশ ও সমুদ্রে চীনের মহড়া চলবে। তাইওয়ান প্রণালীতে দীর্ঘ পাল্লার ‘লাইভ ফায়ারিং’ করা হবে।
অপরদিকে নিজেদের আকাশসীমায় একাধিক চীনা যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে তাইওয়ান। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা (চীন) বার বার আমাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করছে।তারা আমাদের হয়রানি করছে। জেএন।