parbattanews

তানভীর হত্যার মূলহোতা ‘ফাঁকা বশর’সহ গ্রেফতার ২

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

কক্সবাজার শহরের রুমালিয়ারছড়ার এএইচএম তানভীর হত্যার মূলহোতা বশির আহামদ ওরফে ‘ফাঁকা বশর’সহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শনিবার (৩০ জুন) ভোরে রুমালিয়ারছড়া একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।

সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মাইন উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ির পাশের একটি বাড়ি থেকে তানভীর খুনে অংশগ্রহণকারী বশির আহামদ ওরফে ‘ফাঁকা বশর’ ও বোন আঞ্জুমান আরাকে গ্রেফতার করা হয়। আঞ্জুমান আরা ওই এলাকার নূরুল আলমের স্ত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদ বাঁচামিয়ার ঘোনা জামে মসজিদে নামাজ আদায় শেষে লোকজনের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এসময় চায়ের দোকানে বসেছিল তানভীর ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রায়ই ২০ জন যুবক। কুশল বিনিময়ের সময় এলাকার ভাঙ্গা রাস্তা ও নালা নর্দমা ঠিক করে দেয়ার জন্য জামশেদকে অনুরোধ করেন ছাত্রদল নেতা তানভীর।

এসময় জামশেদ আগামী বাজেটে তা করার কথা বলে দোকান থেকে বের হয়ে একটু সামনে গেলে মিজান নামের এক যুবক জামশেদকে গালমন্দ করে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় তানভীরের সঙ্গে মিজানের।

একপর্যায়ে তানভীরকে মারধর করতে শুরু করে মিজান ও তার সঙ্গীরা। খবর পেয়ে জামশেদ আবার ফিরে এসে উভয় পক্ষকে শান্ত করে চলে যান। তিনি চলে যাবার পর তানভীরের পরিবারের সঙ্গে আবারও সংঘর্ষে জড়ায় হত্যাকারীরা। এক পর্যায়ে তানভীরকে ছুরিকাঘাত করা হয়। দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

আটক বশরের ছেলে নেজামের উপুর্যপুরি নির্মম ছুরিকাঘাতে তানভীর নিহত হয়।

স্থানীয়রা জানান, বশরের পুরো পরিবার ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এলাকায় তাদের পরিবারটি ইয়াবা পরিবার নামে পরিচিত। পিতা ও পাঁচ পুত্র মিলে তারা রাতদিন ইয়াবা ব্যবসা করেন। গত রমজান মাসেও প্রকাশ্যে ইয়াবা বিক্রি করা নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে তাদের বাগবিতন্ডা হয়।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ফরিদ উদ্দীন খন্দকার জানান, তানভীর খুনের ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান আসামী ও ১০নং আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Exit mobile version