parbattanews

তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী কর্তৃক ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে স্বামীকে প্রহার

তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী সন্ত্রাসীদের নিয়ে স্বামীকে বেদম প্রহর করেছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পিডিবি স্টাফ আবুল কাশেম।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুাৎ কেন্দ্রে কর্মরত অফিস সহায়ক আবুল কাশেম দীর্ঘ ১৯ বছর পূর্বে প্রথম স্ত্রী ইছমতারা কল্পনা প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারনা করে বিয়ে করে আবুল কাশেম (পিডিবি) কর্মরতকে। তাদের সংসারে এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বিভিন্ন নাটকীয়তায় স্বামী ১০১৪ সালে বাধ্য হয়ে প্রথম স্ত্রীকে জমিজমা লিখে দিয়ে আদালতের মাধ্যমে তালাক প্রদান করে। ২০০১ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করে কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সি ব্লকে বসবাস করে আবুল কাশেম। দ্বিতীয় সংসারে এক ছেলে ২ মেয়ে নিয়ে শান্তিতে সংসার করে আসছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, প্রথম তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী দীর্ঘ বছর পর স্বামীর খোঁজ নিয়ে চট্রগ্রামের কর্মস্থল রাউজান তাপ বিদ্যুাৎ কেন্দ্রে আসে। এবং কতিপয় কিছু শ্রমিককে ভুলভাল বুঝিয়ে আমাকে মারার জন্য ওৎ পেতে থাকে। ৫ এপ্রিল আমার ছোট ভাইয়ের বিয়ের জন্য আমি অফিস হতে ছুটি নিয়ে দেশের বাড়ি নরসিংদী যাওয়ার জন্য ২৯ হাজার টাকা নিয়ে অফিস হতে বিকাল ৫টায় রওনা দেওয়ার সময় আমার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী অফিস ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমাকে হামলা করে। আমাকে গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। দূরে একটি অন্ধকার ঘরে নিয়ে বেদম প্রহর করে সব টাকা এবং আমার ব্যবহৃত চশমাটি পর্যন্ত নিয়ে যায়। এদিকে আমাকে আহত অবস্থায় এলাকার লোকজন উদ্বার করে এবং ৯৯৯ এ কল দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পূর্বে অফিসে কর্মরত কিছু ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা নিজেকে আড়াল করার জন্য আমাকে রাউজান তাপ বিদ্যুাৎ কেন্দ্র হতে স্ট্যন্ড রিলিজ করে কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বদলি করে। তারপর একটি এম্বুলেন্সে ভর্তি করে আমাকে অজ্ঞান অবস্থায় পাঠিয়ে দেয়। কাপ্তাই বিউবো বাসায় আমার স্ত্রীকে খবর দেয় বলে উল্লেখ করেন।

আমার পরিবার অজ্ঞান অবস্থায় আমাকে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কম্প্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে আমি হাসপাতালে ৬দিন যাবৎ আহত অবস্থায় গলা, বুক ও শরীরের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি। বিভিন্ন হুমিকর ও আতঙ্কের মধ্যে দিন যাপন করছে বলে উল্লেখ করেন আহত আবুল কাশেম।

এদিকে শনিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় কাপ্তাই উপজেলা হাসপাতালে পিডিবি কর্মরত আবুল হাশেমকে ৩য় তলায় ৯নং বেডে আহত অবস্থায় তার সাথে কথা হয়। তিনি জানান, আমার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর আমার সাথে দীর্ঘ ১৯ বছর যাবৎ কোন যোগযোগ বা সম্পর্ক নেই। সে আমাকে হত্যার জন্য আমার ওপর হামলা করে এবং আমাকে অফিসের  কতিপয় লোক দিয়ে আমাকে অন্যায়ভাবে বদলি করায়।

এছাড়া তিনি আরও জানান, জানতে পারলাম তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী রাউজান আমাকে হামলা করে আবারও কাপ্তাই প্রজেক্ট এর ভিতর ভিআইপি রেস্ট হাউজে কারও আশ্রয়ে থেকে আমাকে হত্যার ষাড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছে বলে উল্লেখ করেন। এদিকে তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে কোন মোবাইল বা যোগাযোগ করা সম্ভাব হয়নি।

Exit mobile version